ঝিনাইদহে স্বেচ্ছাসেবক লীগ অফিসে মাদক ব্যবসা!
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দলীয় কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে মাদক ব্যবসা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি মাদক ব্যবসায়ীদের। গ্রেফতার করা হয় নারীসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সিসি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়ে শহরের কালীবাড়ি মোড়ের এই অফিসটিতে অভিযান চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।
গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন উপজেলার ফয়লা গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর বজলুর রশীদ নান্নু (৫০) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে সোনিয়া আক্তার আকাশি (২১) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ী।
ঝিনাইদহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ সময় বজলুর রশীদ নান্নুর কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা ও ৫ বোতল ফেনসিডিল এবং সোনিয়ার কাছ থেকে ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অফিসটিতে গিয়ে দেখা যায়, সাইন বোর্ডটিতে লেখা বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, প্রধান কার্যালয়, উপজেলা শাখা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ। সাইন বোর্ডে ঝুলানো আছে লজিটেক কোম্পানির একটি সিসি ক্যামেরা। যেটা দিয়ে সামনের রাস্তার পুরো অংশ দেখা যায়। সামনে দিয়ে কেউ অফিসে প্রবেশ করলে তিনি ঘরের মধ্যে থেকে দেখতে পারবেন। এই অফিসটির পিছনে নদী।
কালীগঞ্জ থানার এএসআই সাইফুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঝিনাইদহের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর একই দলীয় কার্যালয় থেকে বজলুর রশীদ নান্নুকে মাদকসহ আটক করে ঝিনাইদহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সে সময় অফিস তল্লাশি করে ৯৬ পিস ইয়াবা, ১ বোতল ফেনসিডিল ও মাদক বিক্রির ২ হাজার ৭৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর মাদক ব্যবসায়ের অভিযোগে তাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।