ঝিনাইদহ প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি ৯ বছরেও চালু হয়নি
1 min read
ঝিনাইদহ বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি দীর্ঘ ৯ বছর অতিবাহিত হলে ও এখন চালু হয়নি। বছরের পর বছর পড়ে থাকায় জঙ্গল আর বুনো লতাপাতায় ঘিরে ধরেছে গোটা ভবন। রক্ষনা বেক্ষন আর দেখ ভালের অভাবে ভবনের জানালা-দরজা চুরি হয়ে গেছে অনেক গুলো।
দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় ৫টি ভবনের মধ্যে ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে। অথচ বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের জন্য ১০০ শয্যার আবাসিক স্কুল ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি চালু হলে এখানে ৪টি ট্রেডে ২৫ জন করে মোট ১০০ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী (৫০ মেয়ে ও ৫০ ছেলে) পড়ালেখার পাশাপাশি প্রশিক্ষণের সুযোগ পেতো। এখান থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে তারা স্বাবলম্বী হতে পরতো। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় চিঠি যায়, কিন্তু উত্তর আসে না। ভবন এলাকায় ঘাস জঙ্গল আর ময়লা আবর্জনায় ভুতুড়ে পরিবশে গড়ে উঠেছে।
ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়ার শারিরীক প্রতিবন্ধী ছাত্র শাহিনুর রহমান জানান, বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের স্কুলটি চালু না হওয়ায় আমার মতো ঝিনাইদহ অঞ্চলের বহু প্রতিবন্ধী ছেলে মেয়েরা কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ঝিনাইদহ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান জানান, ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ বিঘা জমির ওপর ঝিনাইদহ বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের স্কুল ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়। ২০০৬ সালের ৮ এপ্রিল জোট সরকারের আমলে ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সমাজসেবা অধিদফতর ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ভবন নির্মাণে আর্থিক সহায়তা দেয়। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর নির্মাণ কাজ শেষ হতে আরও দু’বছর কেটে যায়। বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের ১০০ শয্যার আবাসিক স্কুলটি চালু করতে ৯ বার চিঠি দেয়া হয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীসহ ২৯টি পদে জনবল চেয়ে আবেদন করা হয় সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে। কিন্তু এ যাবত পাঠানো কোনো চিঠির উত্তর আসেনি। তবে তিনি আশা ছাড়েন নি।
খুব দ্রত প্রতিষ্ঠানটি চালু করার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান। কিন্তু রয়েছে আমলাতান্ত্রিক নানা সমস্যা। যে কারনে এ প্রতিষ্ঠান টি চালু করতে একের পর এক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ৯ বছর আগে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যায় করে ভবন টি তৈরি করার পর ও আজ চালু না হবার কারনে সেখানে এখন বন জঙ্গলে এমন হয়ে গেছে ভনটিতে যাবার কোন রাস্তা নেই।ভবন টি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ পরিচালক আব্দুল মতিন জানান, প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই।