ডিসিসি নির্বাচন এইচএসসি পরীক্ষার মাঝে ‘গ্যাপ’ খুঁজছে ইসি
1 min readপ্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (ডিসিসি) উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনের জন্য আর কোনো সমস্যা নেই। কাজেই দ্রুততার সঙ্গে এ নির্বাচন করে ফেলবো। আমরা চাই, সবার অংশগ্রহণে একটি সুন্দর নির্বাচন হোক।
রোববার (০১ মার্চ) নির্বাচন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার সময় শ্রেণীকক্ষগুলো একভাবে সাজানো থাকে। নির্বাচনের জন্য অন্যভাবে সাজাতে হয়। আবার সামনে রোজা রয়েছে। রোজার মধ্যে নির্বাচন অ্যাভয়েড করবো।
তিনি বলেন, পরীক্ষা ও রোজার মধ্যে কিছুদিনের ‘গ্যাপ’ দরকার। বড় না হলেও মাঝারি ধরনের একটা গ্যাপ যদি দেখিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তার মধ্যে আমরা নির্বাচন করে ফেলার চেষ্টা করবো। আমরা শিগগিরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে সব ঠিক করবো। কেননা, রোজার মধ্যে নির্বাচন করা যাবে না। আবার নির্বাচনের জন্য আমরা শিক্ষার্থীদেরও অসুবিধায় ফেলতে চাই না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন রোজার আগেই সম্পন্ন করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এখনও ডিসিসি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন একসঙ্গে করার ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিইনি। কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেব। তবে এর আগেও আমরা চার সিটি নির্বাচন একসঙ্গে করেছি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, রোজা জুনের মধ্যভাগে শুরু হবে। আর এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আগামী ০১ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। কাজেই কিছু পরীক্ষা পিছিয়ে রোজার মধ্যে নেওয়া হতে পারে।
সিইসি বলেন, ডিসিসি নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কাজ আগামী ১০ মার্চের মধ্যে গুছিয়ে নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সীমানা অনুযায়ী ভোটার তালিকা বিন্যাস শুরু করা হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র চূড়ান্ত করার কাজও শুরু হয়ে গেছে। বেশকিছু স্কুলের সামনে ওভারব্রিজ হওয়ায় কেন্দ্র পরিবর্তন হতে পারে। এ নিয়েও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
সংহিস রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে তিনি বলেন, আশাকরি পরিস্থিতি ভালো হবে। এছাড়া এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনে বেশি সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। তবে আগেও বৈঠক করতে পারি।
গত ০৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো একই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তখন আমরা সবাইকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। আশা করবো ডিসিসি ও চসিক নির্বাচনে সবাই অংশ নেবে। আশা করবো, সবার অংশগ্রহণে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক।