নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা!
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নাজমুন নাহার ঝুমুর (১২) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ফণীর মধ্যে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলামের বাপের বাড়ির আবু হানিফের মেয়ে নাজমুন নাহার ঝুমুর তার মামাতো ভাই রাফি ও মামাতো বোন প্রমির সঙ্গে আম কুড়াতে বের হয়। আম কুড়ানো শেষে অপর দুজন বাড়িতে ফিরলেও ঝুমুর আর ফিরেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে প্রায় দুই ঘণ্টা পর সকাল ৯টার দিকে বাড়ির পাশের মহিষের ডগির খালের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। এলাকাবাসী বিষয়টি কোম্পানীগঞ্জ থানাকে জানালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত ঝুমুর সমরত বানু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিক আলামত দেখে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ধর্ষকরা লাশ খালে ফেলে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজি শফি উল্যাহ বলেন, ঘটনার পরপরই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমদকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। তাঁরা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষকদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের ওডিশা রাজ্যে ‘ফণী’র তাণ্ডব শুরু হয়। সেখানকার পুরি উপকূলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। সেখানে আটজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত আনে। মধ্যরাতের পর ভারতের এই রাজ্যে প্রবেশ করে ‘ফণী’। ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে এটি আঘাত হানে। পরে আরামবাগ, কাটোয়া, নদীয়া হয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে প্রবেশ করে।