পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হামলা: মেয়র রিন্টুকে ১ বছরের কারাদণ্ড
1 min readঝিনাইদহ নিউজ: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহিনুর রহমান রিন্টুকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ের আরও ২০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এ মামলার অন্য ৫ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ঝিনাইদহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক এমএ আজহারুল ইসলাম এ রায় দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই মাসের ১৩ তারিখে লোডশেডিং জনিত কারণে উপজেলার দ্বিগনগর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্রে পৌর মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুসহ তার লোকজন ৭-৮টি মোটরসাইকেল নিয়ে গেট ভেঙ্গে হামলা চালায়। এ সময় উপকেন্দ্র ভাংচুরসহ ইউসুফ আলী নামের এক লাইন ম্যানকে মারধর করেন তারা।
ঘটনার পরের দিন ১৪ জুলাই ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম প্রশাসন মো. এমরুল হাসান মাসুদ বাদী হয়ে পৌরসভার মেয়রসহ ৬ জনকে আসামি করে হরিণাকুণ্ডু থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পিবিআই পরিদর্শক আবদুল লতিফ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ঝিনাইদহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে বিচার শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার বর্তমান মেয়র শাহিনুর রহমান রিন্টুসহ আসামিদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক এমএ আজহারুল ইসলাম।
এ মামলার অন্য ৫ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের ফারুক ইমাম, ষড়াবাড়িয়া গ্রামের মুকুল হোসেন, চটকাবাড়িয়া গ্রামের সেলিম হোসেন, ডা. শরিফুল ইসলাম ও জোড়া পুকুরিয়া গ্রামের বিপুল।
বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আবু তালেব ও এপিপি গৌতম কুমার বিশ্বাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।