পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
1 min readসাদা পোশাকে তুলে নিয়ে থানায় নির্যাতন, গালিগালাজ ও অবৈধ সুযোগ সুবিধা আদায়ের অভিযোগে ঝিনাইদহের একটি আদালতে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা জাহাঙ্গীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আসামীরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার মিলন রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন, ঝিনাইদহ সদর থানার এএসআই আরিফ ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মালেক মণ্ডলের ছেলে আসমাউল হুসাইন।
মামলার বাদী হরিণাকুণ্ড উপজেলার শাখারীদহ গ্রামের মৃত গোলাপ মালিথার ছেলে মো. আশির উদ্দীন। তিনি আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, আসামি রেহেনা খাতুনের সঙ্গে বাদীর স্ত্রী হাসিনা খাতুনের সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে এনজিও থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ উঠিয়ে দেন। এই টাকা মাসে মাসে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেন আসামি রেহেনা। পরে ঋণের টাকা চাইলে আসামি রেহেনা নানা অজুহাত খাড়া করেন এবং বিভিন্ন লোক দিয়ে নানা ধরনের হুমকি দেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামি রেহেনা টাকা দেবেন জানিয়ে ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পসহ বাদীর ছেলে উজ্জ্বলকে শহরের পাগলা কানাই এলাকায় আসতে বলেন। টাকা নিতে আসা মাত্রই আসামি রেহেনা ও তার বোনের ছেলে আসমাউল অজ্ঞাত ৪-৫ ব্যক্তিকে নিয়ে বাদীর ছেলে উজ্জ্বলের গতিরোধ করেন।
এ সময় সাদা পোশাকে থাকা এএসআই আরিফ বাদীর ছেলে উজ্জ্বলকে দেখে বলে ওঠেন, ‘আমি তোকেই তো খুঁজছি’। এরপর তাকে হাতকড়া পরিয়ে টেনেহিঁচড়ে ইজিবাইকে তুলে ঝিনাইদহ সদর থানায় নিয়ে যান।
ইজিবাইকের মধ্যে এএসআই আরিফ উজ্জ্বলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তুই কোর্টে চাকরি করিস। আর আমি আইন জন্ম দিই। তোর চাকরি আমি খেয়ে নেব। তোর মতো কত মানুষের আমি চাকরি খাইছি!’
পরে আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সোহেল রানা বাদীর ছেলে উজ্জ্বল ও তার বন্ধুকে থানা থেকে নিয়ে আসেন। আসামি রেহেনা খাতুনের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসামি এএসআই আরিফ ক্ষমতার অপব্যাবহার করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শওকত আলী জানান, মামলাটি আদালত গ্রহণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আদালতের আদেশের কপি সদর থানায় বিধি মোতাবেক পৌঁছে যাবে বলেও তিনি জানান।