বছরের দেড় মাস পার হলেও প্রাথমিক স্তরে বই পায়নি প্রায় শতাধিক কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট
1 min readঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তর্গত কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেটগুলো বিভিন্ন ভাবে অবহেলিত। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তর্গত কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেটগুলো বইয়ের চাহিদা দেওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত পায়নি শতভাগ বই।
জানা যায়, যেখানে গত বছরে ডিসেম্বর মাসে ১৫ তারিখের মধ্যেই সকল সরকারি, বে-সরকারি ও হালে নতুন করে গড়ে ওঠা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ বই পৌছে দেওয়া হলেও অবহেলিত ঝিনাইদহের কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেটগুলো ৬ থেকে ৭ বার পিটিআই ইনিস্টিটিউটে বই আনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাগণদের। গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে চাহিদার ৪০% বই দেওয়া হয়, যেখানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির বই দেওয়া হলেও পঞ্চম শ্রেণির কোন বই দেওয়া হয় নি। বাকি বইগুলো পরবর্তিতে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ঘোরা ঘুরির পরও মেলে না কোন বই। উপজেলা থেকে দুই তিন দিন পর আসতে বললে কিছু কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেটগুলো ১০% থেকে ২০% বই পেলেও বাকিদের মেলে না কোন বই বিদ্যালয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় ।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ‘বইয়ের চাহিদার তুলনায় বেশি বই আনা হয়েছে। কিš‘ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের তাদেও চাহিদার বেশি বই নেওয়ায় বইএর এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে আমরা এ বিষয়টি তদন্ত করছি, যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাহিদার তুলনায় বেশি বই নিয়েছে তাদেও বিরুদ্ধে ব্যব¯’া নেওয়া হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু বই উদ্ধার করেছি।’ সুত্রে জানা যায়, সর্বশেষ জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে অন্যান্য ক্লাসের বই সহ পঞ্চম শ্রেণির ৫০% বই দেওয়া হয়। বই দেওয়ার সময় এক সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, ‘আজকে এই শেষ বই দেওয়া, এরপর আর কোন বই দেওয়া হবে না, এই বইগুলো নিয়েই চালাতে হবে।’ এ পর্যন্ত কোন কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন বই পায়নি। গোপন সুত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে যাদের মামা, খালু ও অর্থ আছে তাদেও অনেকেই শতভাগ বই পেয়েছে। সর্বশেষ বই দেওয়ার পর থেকে ১ সপ্তাহ পর পর বইএর খোজ নিলেও মেলে না বই।
নতুন বই কবে দেওয়া হবে এ ব্যাপারে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শিমুল আহম্মেদ এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কবে বই দেওয়া হবে তা ঠিক বলা যা”েছ না তবে আমরা বইএর চাহিদার লিস্ট নতুন করে পাঠিয়েছি। আশা করি দ্রুতই বই পাওয়া যায়। গত ৬ই জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে শতাধিক কিন্ডারগার্টেনও প্রি-ক্যাডেট প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকাগণ উপ¯ি’ত হয়ে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন (২৫-৩০) বছর যাবৎ প্রতিষ্ঠঅন চালিয়ে আসছি আমরা বই পা”িছ না কিš‘ ২ মাস আগে তৈরি হওয়া স্কুলগুলো বাড়িতে বসে বই পা”েছ কিভাবে?
জেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আক্তারুজ্জামান বলেন, সবাইকে বই দেওয়া হবে চাহিদা অনুযায়ী, আমাদের কাছে তথ্য আছে অনেকেই ছাত্র-ছাত্রীর উপ¯ি’তির চেয়ে বেশি বইয়ের চাহিদা দিয়েছে। যার কারনে সঠিক সময়ে বই দেওয়া সম্ভব হ”েছ না। শ্রীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
এদিকে এই সকল কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেটগুলো পড়ালেখায় অনেকটা এগিয়ে তবে বই না থাকায় পড়াশোনা করতে পারছে না অনেক শিক্ষার্থী। আশা করি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান কওে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেবে। কোন শিক্ষার্থী যেন বইয়ের অভাবে পড়াশোনার কোন ক্ষতি বা ধ্বংস না হয়।