মহেশপুরে ভুট্টা চাষ করে শতাধীক বিঘা জমির চাষীরা বিপাকে
1 min read
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর ২নং কলনির মাঠে প্রায় অর্ধশতাধিক চাষী ভূট্টা চাষ করে বিপাকে পড়েছে। জমিতে ভুট্টার চারা গজালেও জমি অধিকাংশ ভুট্টা গাছ মাথা মোটা হয়ে মোড়ক ধরেছে।
রবিবার সকালে খবর পেয়ে এ প্রতিবেদক আলামপুর ২নং কলনির মাঠে যাওয়া মাত্র ভুট্টা চাষীরা ঘিরে ধরে অভিযোগ করে বলেন- আমরা “পেট্টোকেম” কোম্পানীর পায়োনিয়ার ৩৩ ভি ৯৬ জাতের ভুট্টার বীজ ক্রয় করে এলাকার মাঠে প্রায় শতাধীক বিঘা জমিতে চাষ করা হয়েছে। ভুট্টা বীজের চারা গজালেও গাছ গুলি এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতায় আসার পর গাছের মাথা মোট হয়ে গাছের উপরি অংশের পাতা ছোট হয়ে কুকড়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থা প্রতিটি ক্ষেতের অধিকাংশ গাছে দেখা দিয়েছে। ওই মাঠের চাষী আব্দুল কাদের বলেন- আমি তিন বিঘা জামিতে “পেট্টোকেম” কোম্পানীর পায়োনিয়ার ৩৩ ভি ৯৬ জাতের ভুট্টার বীজ রোপন করেছি। জমিতে চারা গজালেও ভুট্টা গাছে মোচা আসার আগেই জমির অধিকাংশ গাছ কুকড়ে ও মাথা মোটা হয়ে গেছে। এ অবস্থায় আমরা ভুট্টা ক্ষেত নিয়ে বিপাদের মধ্যে আছি। ভুট্টা চাষী রুহুল আমিন তিনি দেড় বিঘা ও আব্দুল আড়াই বিঘা ভুট্টা চাষ করেছেন। এ চাষী দু’জন অভিন্ন বক্তব্যে বলেন- আমাদের এ মাঠে প্রায় ৫০জন চাষী “পেট্টোকেম” কোম্পানীর পায়োনিয়ার ৩৩ ভি ৯৬ জাতের ভুট্টার চাষ করেছি আমাদের প্রত্যেককেরি জমিতে ভুট্টার অধিকাংশ গাছ কুকড়ে ও মাথা মোটা হয়ে মারা যাচ্ছে। কিন্তু পাশাপাশি কিছু কিছু চাষী অন্য কোম্পানীর ভুট্টার বীজ বোপন করেছে তাদের ভুট্টা গাছ ক্ষতি গ্রস্থ হয়নি।
বরং তাদের ভুট্টা গাছ খুবই ভাল হয়েছে। অভিযোগকারীরা বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ। আমাদের মধ্যে অনেকেই এনজিও থেকে লোন নিয়ে কেউ কেউ জমি লিজ নিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি, ভুট্টা বিক্রি করে লোন সোধ করবো এই স্বর্তে। অথচ আমাদের ভুট্টা ক্ষেত ২/৩ মাস পরিচর্যা করে এখন দেখছি ক্ষেতে ভুট্টা হবে না। আমরা এখন ঋণের টাকা পরিশোধ করবো কি করে। এ ব্যাপারে “পেট্টোকেম” কোম্পানীর এ অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিবিদ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন- ভুট্টা গাছ দেখে মনে হচ্ছে ড্রাফট মোজাইক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
বিক্রয় প্রতিনিধিদের বীজ রক্ষণাবেক্ষনে এমনটি হতে পারে। তবে তিনি তার উপরি মহলকে বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জানান। মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আবু তালহা বলেন- আমি খবর পেয়ে ক্ষতি গ্রস্থ ভুট্টার জমিতে গিয়েছিলাম। এটি ভাইরাস জনিত কারণে অথবা পুরানো বীজ বোপন করার কারণে এমনটি হতে পারে। সে যাই হোক বীজের কারণে এমনটি হযেছে। আমি এ বীজের ডিলারকে বলেছি “পেট্টোকেম” কোম্পানীকে জানিয়ে দিতে তারা অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের পাশে এসে দাঁড়ায়। তা না হলে ওই “পেট্টোকেম” কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবো।