শৈলকুপায় কৃষিতে বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার, বেড়েছে ধানের আবাদ
1 min readতৃণমুল পর্যায়ের কৃষিতে দিন দিন বাড়ছে প্রযুক্তির ব্যবহার। যে কারণে অল্প খরচে স্বল্প সময়ে অধিক ফলন পাচ্ছে কৃষক। এরই ধারাবাহিকতায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কৃষকেরা ঝুঁকছে রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টার ব্যবহারে। তারা বাড়ির আঙ্গিনায় করছে ধানের বীজতলা তৈরীর কাজ। যার মাধ্যমে সময় ও খরচ দুই’ই কমেছে। কৃষি বিভাগ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহারে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।
শৈলকুপা উপজেলার গোসাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক মিটুল জানান, কয়েক বছর আগেও তার ৫ বিঘা জমিতে ধানের বীজতলা দেওয়া ও ধান লাগাতে খরচ হতো কয়েক হাজার টাকা। এছাড়া নিজের দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম তো রয়েছেই। গত ২ বছর হলো মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ শুরু করেন তিনি। নিজ বাড়ির উঠানে ৫ বিঘা জমির ধানের বীজতলা তৈরী করছেন। পরিচর্যা করছেন বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা। এতে নিজের সময়ের সাশ্রয়ের সাথে সাথে খরচও হচ্ছে কম।
তিনি আরু জানান, এক বিঘা জমিতে পুর্বে ৪ জন শ্রমিক লাগতো। কিন্তু বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের ব্যবহারের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ মিনিটের মধ্যেই ধান লাগাতে পারে মাত্র একজন শ্রমিক।
সুবিধা পাওয়ায় তার দেখা দেখি ওই গ্রামের কয়েকজন কৃষক শুরু করেছে এই পদ্ধতিতে ধানের আবাদ।
এছাড়া এই পদ্ধতিতে ধান লাগানোর ফলে ফলন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই খুশি ওই এলাকার কৃষক।
কৃষি বিভাগের সহযোগিতার মাধ্যমে এই এলাকায় দিন দিন বাড়ছে ধানের ফলন। সেজন্য কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান সারুটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুন্ডু জানান, শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ব্লকে বর্তমানে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের মাধ্যমে ধানের আবাদ করা হচ্ছে। কৃষক নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় বা মাঠে ট্রে ও পলিথিন পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করছে। ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চারা লাগানোর উপযোগি হয়।
যেখানে এক একর জমিতে চারা রোপণ করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা, এ মেশিন ব্যবহারে প্রতি একরে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ টাকা সাশ্রয় হবে। তাই পরিবেশ বান্ধব এ মেশিন ব্যবহারে কৃষকদের পরিশ্রম কম হবে এবং লাভ বেশি হবে। এ মেশিন সরকারের কাছ থেকে কৃষকরা ভর্তুকি মূল্যেও ক্রয় করতে পারবেন।
ভর্তুকির মাধ্যমে রাইস ট্রান্স প্ল্যান্টার মেশিন ব্যবহারে তৃণমুল পর্যায়ের কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে ধান চাষে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটিই মনে করেন সচেতন মহল।
আহমেদ নাসিম আনসারী,
ঝিনাইদহ।