শৈলকূপার বেদেপল্লীতে সৌরবিদ্যুতের আলো
1 min read
জীবনই তাদের যাযাবর। বারো মাসই কাটে পথে পথে। আজ এখানে তো কাল অন্যস্থানে। স্বাভাবিক সমাজের আর দশজন মানুষের চলাফেরার সঙ্গে নেই কোনো মিল। তাদের জীবনে এক সময় আধুনিকতার ছোঁয়া ছিল কল্পনাতীত। কিন্তু এখন তাদের জীবনেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। ঢাকার সাভার থেকে আসা শৈলকূপার বিভিন্ন বেদেপল্লী ঘুরে দেখা গেছে তাদের প্রতিটা তাঁবুতে এখন সৌরবিদ্যুতের আলো, সেই সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির মোবাইল।
শৈলকূপার লাঙ্গলবাঁধ বাজারসংলগ্ন মালিথিয়া গ্রামে তাঁবু গেড়েছে ৫০টি বেদে পরিবার। এ বেদে পরিবারের সর্দার সবুজ মিয়া বলেন, তারা এসেছেন ঢাকার সাভার এলাকা থেকে। বছরের অধিকাংশ সময় কাটে তাদের পথে পথে। সারাদিন প্রতিটা সদস্যকে গ্রামের পর গ্রাম হেঁটে সাপ খেলা বা তাবিজ বিক্রি করে উপার্জন করতে হয়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে সবাই একটু বিনোদন চায়। এখন মোবাইলের যুগ। তাই প্রতিটা তাঁবুতেই এখন সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশ এগিয়েছে। আমরা কেন পিছিয়ে থাকব।
বেদেপল্লীতে সৌরবিদ্যুতের ছোঁয়ার ব্যাপারে শৈলকূপার বাগুটিয়া জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল বারী বলেন, বেদে পরিবারগুলো দেশের স্বাভাবিক সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন একটি জনগোষ্ঠী। দেশের একস্থান থেকে অন্যস্থানে ঘুরে ঘুরে জীবিকা অর্জনই যাদের কাজ।
বিভিন্ন স্থানে ঘুরে তারা উপলব্ধি করেছে বর্তমানে দেশের খোঁজ-খবর নিতে এবং এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। তাই অশিক্ষিত ভ্রাম্যমাণ এ জনগোষ্ঠীতেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।”