হাত-মুখ বেঁধে ঠাকুরগাঁওয়ে তিন সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ
1 min readঠাকুরগাঁওয়ে তিন সন্তানের এক জননী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রবিবার গভীর রাতে সদর উপজেলা বড়গাঁও ইউনিয়নের কিসমত চামেশ্বরী জাগিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আজ সোমবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নির্যাতিতা নারী জানান, সংসারের আর্থিক অনটন দূর করতে তার স্বামী (কাওসার আলী) ও তিনি অন্যের বাসায় দিনমজুরের কাজ করেন। রবিবার দুপুরে তার স্বামী ধানকাটা মজুরের কাজের উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল চলে যান। প্রতিদিনের মতো তিনিও মাঠে কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসেন। বাসায় আসার পর রাতে রান্নাবান্না করে খাওয়া শেষে তিন সন্তানসহ ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মধ্যরাতে একই গ্রামের আসির উদ্দীনের ছেলে হারুনুর রশীদ, সবিরউদ্দীনের ছেলে ময়নুল সায়েদুলের ছেলে মোহা. শাহীন ও মৃত দেবারু ইসলামের ছেলে ফখরুল ইসলাম কৌশলে দরজার বাঁশের খুঁটির রশি খুলে ঘরে ঢুকে জোড়পূর্বক তার হাত, মুখ বেঁধে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় অচেতন হয়ে পড়লে তিনি আর কিছুই বলতে পারেন না।
পরে সোমবার সকালে ১১ বছর বয়সী বড় ছেলে লিটন তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিদের খবর দেয়। পরে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুপুরে ধর্ষণের নমুনা সংগ্রের জন্য তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রোকেয়া সাত্তার জানান, নির্যাতিতা নারীর শারীর খুব দুর্বল। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সংগ্রহকৃত নমুনার চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে এলে তা প্রকাশ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি জানান, এ বিষয়ে কিছুই জানি না। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী