আধুনিকতার ছোয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির বাড়ী
1 min readঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রাম থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সবুজ-শ্যামল ছায়াঘেরা গ্রামীণ জীবনের শান্তির নীড় `মাটির ঘর`। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, প্রতিটি গ্রামে মানুষের নজর কাড়তো সুন্দর এ মাটির ঘর।
জানা যায়, প্রাচীন কাল থেকেই মাটির ঘরের প্রচলন ছিল। এঁটেল বা আঠালো মাটি কাদায় পরিণত করে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হত। ১০-১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার ওপর খড় অথবা টিনের ছাউনি দেয়া হতো।
মাটির ঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের এক মাসের বেশি সময় লাগতো। গৃহিণীরা মাটির দেয়ালে বিভিন্ন রকমের আল্পনা একে তাদের নিজ বসতঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেন।
এক সময় জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনেক পরিবার মাটির ঘরে বাস করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো। তবে বর্ষার সময় মাটির ঘরের ক্ষতি হয় বেশি। ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির ঘর শত বছরেরও বেশি স্থায়ী হয়। কিন্তু কালের আবর্তে দালান-কোঠা আর অট্টলিকার কাছে হার মানছে সে চিরচেনা মাটির ঘর।
স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জানান, মাটির ঘর বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে অধিকাংশ মানুষই মাটির ঘর ভেঙে অধিক নিরাপত্তা ও স্বল্প জায়গায় অনেক লোকের বসবাসের জন্য ইটের ঘর করছে।