আম্পানে ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ, সুপেয় পানির জন্য ছুটে চলা
1 min readঝিনাইদহ নিউজ: চারদিকে শুধু পানি আর পানি। যতদূর চোখ যায়, অথৈ পানিতে অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে গাছপালা-ঘরবাড়ি। পানির প্রচণ্ড স্রোতের শব্দ আতঙ্ক তৈরি করছে ভুক্তভোগীদের মধ্যে। এ ছাড়া লবণাক্ত পানির আধিক্য থাকায় রয়েছে সুপেয় পানির সংকট। এর মধ্যেই দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের জন্য সুপেয় পানি সংগ্রহের কাজে নৌকায় ছুটে চলছেন দুই গৃহবধূ আকলিমা ও খোদেজা।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়ি গোয়ালিনী গ্রামে গত মঙ্গলবার দেখা যায় আকলিমা ও খোদেজাকে। দুজনের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে বেড়িবাধঁ ভেঙে এলাকার সব পুকুর ও খাল-বিল তলিয়ে যাওয়ায় পানির সংকট চরমে উঠেছে। আর তাই, এভাবে প্রতিদিনই নৌকায় করে বুড়ী গোয়ালিনী সাইক্লোন সেন্টারে খাবার পানি সংগ্রহ করেন আকলিমা ও খোদেজাসহ অনেকেই।
এদিকে আকলিমা ও খোদেজার স্বামী পানি আটকানোর জন্য রিং বাঁধ দিতে স্বেচ্ছাশ্রমে গেছেন। তাঁদের মুখের হাসি কেড়ে নিয়েছে আম্পান। ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খলিলউল্লাহ ঝুড়ু এসব তথ্য জানান।
প্রাকৃতিকভাবে ওই এলাকায় নদীর পানি অনেক বেশি লবণাক্ত, যা পান করা ও ব্যবহারের অনুপযুক্ত। তবে এলাকায় পুকুরের পানি লবণাক্ত না হওয়ায় তা খাওয়ার উপযোগী। সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই পুকুরের পানি পান করেন। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলীয় বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকার সব পুকুর ও খাল-বিল তলিয়ে দেওয়ায় খাওয়ার পানির সংকট চরমে উঠেছে। তাই বুড়ি গোয়ালিনী সাইক্লোন সেন্টারের ফিল্টার মেশিন থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন অনেকে।
এদিকে, এক সপ্তাহ চলে গেলেও বেড়িবাঁধ পুনরায় র্নিমাণ করা যায়নি। ফলে দিনে-রাতে জোয়ারের ১২ ঘণ্টা বাসিন্দাদের উঁচু স্থানে থাকতে হচ্ছে। আর ভাটার সময় ঘরের ভেতরে মাজার ওপর করতে হয় রান্না ও খাওয়া-দাওয়ার কাজ। এ ছাড়া মলমূত্রের জন্য চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।