Sun. Dec 22nd, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

এই ঈদেও বেতন পাচ্ছেন না এলজিইডির ৬৭০ নারী কর্মী

1 min read
এই ঈদেও বেতন পাচ্ছেন না এলজিইডির ৬৭০ নারী কর্মী

এই ঈদেও বেতন পাচ্ছেন না এলজিইডির ৬৭০ নারী কর্মী

এই ঈদেও বেতন পাচ্ছেন না এলজিইডির ৬৭০ নারী কর্মী
এই ঈদেও বেতন পাচ্ছেন না এলজিইডির ৬৭০ নারী কর্মী

গত ঈদুল ফিতরের আগে বেতন পাননি ঝিনাইদহে কর্মরত এলজিইডির নারী কর্মীরা। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেও বেতন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে প্রান্তিক পর্যায়ের এই নারী কর্মীদের জীবনে ঈদ আনন্দের বদলে কষ্ট নিয়ে আসছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, দাতা সংস্থা অর্থ ছাড় করলেই মাত্র ওই নারী কর্মীরা বেতন পাবেন।

বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা সুমি খাতুন, আকলিমা খাতুন, আলেয়া খাতুনদের মতো ১৪০ জন নারী শৈলকুপায় এলজিইডিতে কাজ করেন। এ নারী কর্মীরা সামান্য বেতনে রাস্তা সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কাজ করেন। কিন্তু প্রয়োজনের সময় তারা বেতন পান না বলে অভিযোগ। একই অবস্থা জেলার অন্যান্য উপজেলায় কর্মরত নারী কর্মীদেরও।

শৈলকুপা উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আরইআরএমপি-২ প্রকল্পের অধীনে এসব নারী কর্মী রাস্তা সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন করে থাকেন। তারা প্রতিদিন ১৫০ টাকা হারে বেতন পান। যা থেকে ৫০ টাকা আবার তাদের সঞ্চয়ী হিসাব নাম্বারে জমা হয়। অর্থাৎ তাদের দৈনিক নগদ প্রাপ্তি ১০০ টাকা।

শৈলকুপায় প্রতি ইউনিয়নে দশজন করে ১৪টি ইউনিয়নে ১৪০ জনসহ ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলায় রয়েছেন এলজিইডির রাস্তা সংস্কার ও পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা ৬৭০ নারী কর্মী। ঈদের আগে বেতন না পাওয়ার শঙ্কায় তাদের চোখে মুখে দেখা গেছে হতাশার ছাপ।

শৈলকুপা উপজেলার দুধসর ইউনিয়নের সুমি খাতুন, সারুটিয়া ইউনিয়নের আকলিমা খাতুন, আবাইপুর ইউনিয়নের আলেয়া খাতুন জানান, গত ঈদের (ঈদুল ফিতর) তারা বেতন পাননি। আসন্ন ঈদের আগেও বেতন পাবেন না বলে তাদের আশঙ্কা। ফলে সন্তানদের নিয়ে কষ্টে কাটবে তাদের ঈদ।

শৈলকুপার দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি অর্গানাইজার মো. ফজলুল হক এ সব নারী কর্মী গত ঈদে বেতন পাননি বলে নিশ্চিত করেন। আসন্ন ঈদেও তাদের একই অবস্থা হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এলজিইডির এই কর্মী।

জানতে চাইলে ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। দাতা সংস্থার টাকায় এদের বেতন হয়। টাকা এলেই এদের বেতন পরিশোধ করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *