একমাত্র সহজ স্বর্তে ঋন দিলেই আমরা বাঁচবো
1 min read
এক সময় হাজার কোটি টাকার ইমিটেশন গহনার বাজার ভারতীয়দের দখলে ছিল। সে সময় আমাদের মিলন সিটি গোল্ডের ইমিটেশনের গহনা বাজারে ছাড়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল। এখন আমাদের টিকে থাকতে দরকার উন্নত প্রযুক্তি। তার জন্য দরকার টাকা। একমাত্র সহজ স্বর্তে ঋন দিলেই আমরা বাঁচবো” দাবী করেন মিলন সিটি গোল্ড লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রশিদুন্নবী মিলন।
তিনি আরও জানান, ভারত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গহনাতে লালছে রঙ দিতে পেরেছে। কিন্তু শুধুমাত্র পুঁজির অভাবে আমরা উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে রঙ দিতে পারছি না। ফলে নিজের কারখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অধিকাংশ সিটি গোল্ড তৈরীর কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দাবী মিলনে’র ।
নিকেল মিস্ত্রি মহসীন আলী জানান, ২০০৪ সালে দেশের ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী মহেশপুর উপজেলায় একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে ওঠে জুয়েলারী প্রতিষ্ঠান মিলন সিটি গোল্ডসহ ১৫টি ছোট-বড় কারখানা । খুব দ্রুতই স্থানীয়ভাবে ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় তারা। বছরে কমপক্ষে ২/৪ কোটি টাকার বানিজ্য হতো। এ পেশার সাথে কমপক্ষে ৫হজার নারী-পুরুষ জড়িত ছিলেন। একজন পুরুষ শ্রমিক কমপক্ষে ৬ হাজার টাকা এবং একজন নারী শ্রমিক ঘরে বসে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতেন। আস্তে-আস্তে সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আমরাও বেকার হয়ে যাচ্ছি।
আরেক স্বত্ত্বাধীকারী জানান, আধুনিক প্রযুক্তির অভাবেই, চোরাই পথে ভারতীয় সিটি গোল্ড গহনা আসছে, সস্তা চায়না সিটি গোল্ডে বাজার সয়লাব হচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে যদি সরকার সহায়তা করে তবে অবশ্যই এ প্রতিযোগীতায় আমরা টিকে থাকতে পারবো অন্যথায় যা হবার তাই হবে।