এক জন শিক্ষক দিয়ে চলছে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
1 min readবিদ্যালয়ের কোন অফিস নেই ,নেই কোন চেয়ার টেবিলও ।একটি টিনের ঘরে চার পাশে বাঁশের রেলিং লাগিয়ে তিনটি শ্রেণীকক্ষে ভাগ করা আছে।একজন শিক্ষিকা একাই তিনটি ক্লাসে টিচিং দিচ্ছে। বিদ্যালয়টি সরকারী হলেও একজন শিক্ষক আর ১৫২ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে খুরিয়ে খুরিয়ে চলছে। ফলে ব্যহত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।হুমকির মুখে পরছে শিক্ষা ব্যবস্থা।
সরজমিনে গিয়ে ও এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এটি।২০০৭ সালে আজমপুর ইউনিয়ের সৈয়দপুর গ্রামে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়।এ্র পর চার জন শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।প্রধান শিক্ষিকা সাইদা খাতুন,সহকারী শিক্ষিকা পাপিয়া,নাজমা ও শারমিন নাহারকে। কিন্তু বিদ্যালয়টি জাতীয়করন হলেও শিক্ষিকারা বেতন না পাওয়ায় নিয়মিত স্কুলে আসে না তারা। যার কারনে এ স্কুলে অধ্যয়নরত ১৫২ জন ছাত্র-ছাত্রীর লেখাপড়া অনিচ্ছিত হয়ে পরেছে।
দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র আজগর আলী জানান,আমাদের ক্লাস ঠিকমত হয়না, একজন মেডাম নিয়মিত অন্য মেডামরা ক্লাসে আসে না। আমি এ বছর এই স্কুলে পরে অন্য কোথায় চলে যাব। তার মত তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী একই অভিযোগ করলেন।
অভিবাবকরা বলেন, গ্রামে স্কুল হওয়ায় এখানেই তারা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে ভর্তি করেছেন । কিন্তু স্কুলে একজন শিক্ষিকা ছারা অন্য শিক্ষিকা কেউ ঠিক মত স্কুলে না আসায় তাদের সন্তানরা লেখা পড়ায় পিছিয়ে পরছে।
সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাইদা খাতুন বলেন,২০০৭ সালে থেকে বেতন পাইনা, তবে স্কুলটি সরকারী করন হলেও শিক্ষিকারা বেতন পাচ্ছে না।আর শিক্ষিকাদের মাঝে মাঝে ছুটি দিতে হয়। এজন্য সবাই উপস্তিত থাকতে পারে না।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, বিদ্যালয়টি সরকারি করনের গেজেট হয়েছে কিন্তু শিক্ষকদের গেজেট হয়নি বলে তারা বেতন পাচ্ছে না।