কুপিবাতি কারিগরদের সু-দিন আর নেই
1 min readঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কুপিবাতি কারিগরদের সু-দিন এখন আর নেই। দেশে বিদ্যুতায়নের ব্যাপক উন্নতি সাধন ও ইলেকট্রিক ল্যাম্পের(চার্জার লাইট) সহজ লভ্যতার কারণে দিন দিন কুপিবাতির চাহিদা কমে যাওয়ায় নিরুপায় হয়ে পেশা বদলেছেন অনেকে। হাতে গোনা যে চার পাঁচটি পরিবার এখনও এ পেশা আকঁড়ে আছেন তারাও ছাড়ার অপেক্ষায়।
কুপিবাতি কারিগর মন্টু গোপাল অধিকারী জানান, এক সময় কালীগঞ্জ পৌর এলাকার শিবনগরের ২০ থেকে ২৫টি পরিবার কুপিবাতি তৈরীর সাথে জড়িত ছিল।
বর্তমানে তা নেমে এসেছে ৪ থেকে ৫টি পরিবারে। তিনি জানান, ২ বছর আগেও এ ব্যবসা বেশ লাভজনক ছিল। সে সময় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার কুপিবাতি বিক্রি হতো। খরচবাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ হতো।
বর্তমানে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ হাজার কুপিবাতি বিক্রি হচ্ছে। এতে খরচবাদে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লাভ থাকে। এ সামান্য আয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। তাই তিনিসহ এখনো এ পেশায় টিকে থাকা কারিগর শিবু অধিকারী, রাম অধিকারী, সমরেশ অধিকারীও পেশা বদলানোর কথা ভাবছেন।