কৃষিতে ঝিনাইদহ “যে মাটিতে সত্যিই সোনা ফলে”
1 min readকৃষি প্রধান দেশ আমাদের বাংলাদেশ। সুজলা সুফলা এদেশের মাটিতে চাষাবাদ হয় ধান, পাট সহ নানাবিধ ফসলের। এ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সারাবছর জুড়ে যেমন চাষাবাদ হয় বিভিন্ন ফসলের, তেমনি অঞ্চল ভেদে দেখা যায় ভিন্ন ভিন্ন ফসল চাষের পরিক্রমা। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল ঝিনাইদহে দেখা যায় চাষাবাদের ভিন্নতা।
১৯৪৯.৬২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ জেলায় প্রাকৃতিক সম্পদের তালিকায় নদ-নদী রয়েছে ১২টি, বিল আছে ১০৪টি, বাওড় রয়েছে ৩৫টি, খালের পরিমান ৪৩টি এবং ছোট-বড় সব মিলিয়ে পুকুর আছে ২৭,৬৪৯টি। অপরদিকে তাকালে দেখা যায় এজেলার এক থেকে চার ফসলী মোট আবাদী জমির পরিমান ৩,০৮,০২৭ হেক্টর, যেখানে সারা বছর জুড়ে চাষ হয় বিভিন্ন ফসলের। জেলার প্রধান ফসলের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ধান, পাঠ, আক, কলা ও পান। এছাড়াও তামাক চাষ সহ বিভিন্ন ধরনে নতুন নতুন ফসল চাষের প্রবনতাও দেখা যায় এজেলার মানুষের মাঝে।
ঝিনাইদহের বুক চিরে বয়ে চলেছে বেগবতী, ইছামতী, কোদলা, কপোতাক্ষ, নবগঙ্গা, চিত্রা ও কুমার নদী। আর তাই অন্যান্য জেলার মতই ঝিনাইদহ জেলাতেও দেখা যায় মাছ চাষের প্রবনতা। সারা বছর এ জেলার মোট ৬৬৫.১১ হেক্টর আয়তনের ১টি সরকারি ও ২১৩টি বে-সরকারি মৎস্য খামারে মাছ চাষ হয়ে থাকে। এছাড়াও জেলাতে ৪টি সরকারি হ্যাচারী সহ মোট ১২টি মৎস্য হ্যাচারী আছে বলে ঝিনাইদহ মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়। এছাড়াও জানাযায় জেলার মোট উৎপাদিত মাছের পরিমান ২৫২৯৭.০০ মেট্রিক টন। চাষাবাদ থেকে উৎপাদিত এসকল মাছ জেলার মানুষের চাহিদা পূরনের পাশাপাশি রপ্তানি করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
পশুসম্পদের দিক থেকে এজেলা যথেষ্ঠ সমৃদ্ধতা পেয়েছে। মৎস্য চাষের পাশাপাশি এজেলার মানুষ হাস-মুরগী, গরু-ছাগল ইত্যাদি গবাদি পশুপালন করেও স্বাবলম্বীতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জেলা প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, এ জেলায় মোট খামারের সংখ্যা ২৪১৫টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মুরগীর খামার, যার সংখ্যা ১৬৬৮টি। এছাড়াও স্থানীয় ভাবে জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতায় রয়েছে ৫৪৫টি গাভীর খামার, ১৪৬টি ছাগলের খামার ও ৫৬টি হাসের খামার। অন্যদিকে জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার মানুষের মাঝে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করনের প্রবনতা দেখা যায়।
ঝিনাইদহ জেলার প্রধান ফসলের তালিকায় রয়েছে পাট। দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঝিনাইদহের মোট আবাদী জমির পরিমান ৩ লক্ষ ৮ হাজার ২৭ হেক্টর। চলতি বছর এ জেলায় পাট চাষ করা হয় ২৪ হাজার ৩শ ৭ হেক্টর জমিতে, আর মোট পাট উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭০ হাজার মেট্রিকটন। ঝিনাইদহে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারেও মিলছে কাঙ্খিত দাম, অন্যদিকে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়াই নেই পাট পচানোর স্থানে অভাব তাইতো হাসি ফুটেছে চাষীর মুখে। পাটের উৎপাদন বাড়াতে এর বহুমুখী ব্যবহারের প্রতি বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। পাট চাষের জন্য প্রয়োজন পরিবর্তনশীল আবহাওয়া অর্থাৎ কখনও বৃষ্টি আবার কখনও রোদ। এ মৌসুমে আবহাওয়া ছিল অনুকুল তাইতো পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসমে বিঘা প্রতি পাটের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৬ মন হারে। আর বাজারে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১৬ শ’ থেকে ১৮ শ’ টাকা দরে। চাষীরা বলছেন, মাঠে পাটের অবস্থা খুব ভাল। খরচের তুলনায় দামও মিলছে ভাল। তবে কামলার দাম টা একটু বেশী দিতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ড. খান মো: মনিরুজ্জামান জানান, চাষীরা চলতি মৌসুমে পাটের দাম ও ফলন খুবই ভাল পাচ্ছে। বিশেষ করে পাট ও পাট জাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার যদি বাড়ানো যায় তাহলে পাটের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। ফলে আগামী মৌসুম গুলোতে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিপাবে, দেশ আবার আগের মত পাট চাষে সমৃদ্ধশালী অবস্থানে পৌছাবে।
জেলার অন্যতম প্রধান ফসল ধান। এখন জমিতে রয়েছে আমন ধান। বৃষ্টির পানিতে আমন ধানের ফলন ভাল হয়। বর্তমানে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে এমন ধারা অব্যাহত থাকলে ফলন খুব ভাল হবে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ফলন ভাল পেতে চাষীদের দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ। এবার জেলায় আমন আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৩ শ’ ৫ হেক্টর জমিতে। বিঘা প্রতি খরচ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আর ফলন ভাল হলে ৩৫ থেকে ৪০ মন ধান পান চাষীরা। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, জেলায় প্রতি বছর ৭ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৮ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়। আর জেলার চাহিদা হচ্ছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৬২২ মেট্রিক টন। ঝিনাইদহ জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭২৬ মেট্রিক টন ধান উদ্বৃত্ত থাকে যা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে ঝিনাইদহে পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রেও আবহাওয়া অনুকূল ছিল এবার। আর সেই সঙ্গে সুষম সার ব্যবহারের কারণে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে বলে জানা যায় ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে, যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২শ হেক্টর বেশি। এ বছর এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩৮ থেকে ৪০ মণ পেঁয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।
শসা উৎপাদনে দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা। বহু বছর ধরে এ অঞ্চলে উৎপাদিত শসা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়। ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার মধ্যে শৈলকুপা একমাত্র উপজেলা যেখানকার প্রায় সব গ্রামেই ব্যাপকভাবে শসার চাষ হয়। তাই এখানকার গ্রামগুলো একত্রে শসাগ্রাম বলে পরিচিত। অল্প খরচে ভালো লাভ হওয়ায় দিনের পর দিন শসা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ত্রিবেনী, মির্জাপুর, দিগনগর, কাঁচেরকোল ও দুধষর ইউনিয়নে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে শশার চাষ হয়েছে। পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামে শসার চাষ হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ১৮-২০ হাজার টাকা। আর বিক্রি করা যায় প্রায় ৬০-৮০ হাজার টাকায়।
এছাড়াও ঝিনাইদহে গমের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ বাড়ছে। ঝিনাইদহে গতবছর কয়েকশ হেক্টর জমির গমখেত “হুইট ব্লাস্ট” রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সেগুলোকে ধ্বংস করে জেলা কৃষি বিভাগ। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে এ বছর গমচাষ বন্ধ করা হয়। তাই এ বছর গমের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করেছেন ঝিনাইদহের কৃষকরা। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার জেলায় ১২ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা গেল মৌসুমের তুলনায় এক হাজার ২৬৮ হেক্টর বেশি। এ বছর সুপার শাইন, এলিট, উত্তরোণসহ বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টার চাষ বেশী হয়েছে। বিঘা প্রতি ভুট্টার ফলন হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ মন।
এসকল ফসলের পাশাপাশি ঝিনাইদহ জেলার প্রায় ৩০টির অধিক গ্রামে ওষধী গাছ বাসকের চাষ করে বাড়তি আয় করছে কয়েকশ পরিবার। এ গাছ লাগানোর ফলে একদিকে যেমন তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অন্যদিকে দেশের সবুজ বনায়নেও রাখছেন অবদান। প্রথমদিকে গবাদিপশুর হাত থেকে জমি রক্ষার জন্য বেড়া ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এ লাগানো হলেও এখন ধারণা পাল্টেছে গ্রামবাসীর। এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও মাটি বাসক চাষের উপযোগী হওয়ায় এখন রাস্তা ও বাড়ির পাশের পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাসক চাষ করছেন তারা। বছরে কমপক্ষে দুইবার এই বাসকের পাতা বিক্রি করা যায়। বাড়ির উপরেই আসে বিভিন্ন ওষুধ কম্পানিগুলো। সুতরাং বিক্রির কোনো সমস্যা নেই। কমপক্ষে দুই হাজার টাকার পাতা তো বিক্রি হয়ই এক বছরে। এক কেজি পাতার দাম ১৪০ টাকা। যত পাতা তত টাকা। এ গাছ একবার লাগালেই হয় আর দ্বিতীয়বার লাগাতে হয় না। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফত সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে কৃষকদের কাছ থেকে এ পাতা নিয়ে যাচ্ছেন। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এ অঞ্চলে বাসক পাতা চাষের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। সুত্রমতে এ অঞ্চলের কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে তারা আরও লাভবান হবেন। পাশাপাশি দেশীয় ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল যোগানে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তবে কতটুকু জমিতে এ চাষ বর্তমানে হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো সমীক্ষা নেই।
পরিচিত ফসল চাষের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন নতুন ফসল চাষে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সৃজনশীল চাষী আশরাফ হোসেন স্বপন। উৎপাদনে ঝুঁকি থাকা সত্বেও অনেকটা সংশয় নিয়েই নতুন ফল ড্রাগন চাষ করে সাফলতা পেয়েছেন। লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন চাষ সম্প্রসারণও করেছেন। ইতিমধ্যে এলাকার প্রায় ২০ জন কৃষক তার দেখাদেখি এই ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেছেন। চাষী স্বপন ক্রমাগত নতুন নতুন চাষে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের পাশাপাশি তিনি অন্যের জন্য অনুকরনীয় হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগীতার হাত বাড়ালেই বদলে যেতে পারে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি। বদলে যেতে পারে কৃষকদের ভাগ্য। কথা হয় কৃষক স্বপনের সাথে, বালিয়াডাঙ্গা বাজারে তার একটি কিটনাশক ও বীজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। সেই সূত্রে একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকরী করা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল নোমানের সাথে পরিচয় হয়। তারই অনুপ্রেরণায় ২০১৪ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারা এনে ২৫ শতক জমিতে ড্রাগন চাষ শুরু করেন। ভিয়েতনামের এই ড্রাগন চারার প্রতিটি ১২০ টাকা দরে ক্রয় করেন। সে বছর কোন ফল না পেলেও পরের বছর ঝুকি নিয়ে আরো তিন বিঘা জমিতে ড্রাগনের চারা রোপন করেন।
চাষ সম্পর্কে স্বপন জানায়, ড্রাগন চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করে কংক্রিটের পিলার স্থাপন করতে হয়। একটি কংক্রিটের পিলারের চার পাশে ৪টি চারা লাগনো হয়। এক একরে ৫’শটি চারা লাগানো যায়। পিলারের উপরে একটি টায়ার বেঁধে দেয়া হয়। এই টায়ারের উপর ড্রাগনের শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে থাকে। স্বপন জানান, অক্টোবর মাসে ড্রাগন চারা লাগানো হয় প্রায় ১৮ মাস পরে গাছে ফুল ও ফল আসে। তার জমিতে তিনি রাসায়নিক সার ব্যবহার করেন না। জৈব সার ব্যবহার করে ড্রাগন চাষ করছেন। তিনি আরো জানান, গত ২ বছরে তার এই ড্রাগন বাগানের পেছনে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ বছর থেকে ড্রাগন গাছে ফুল ফল আসতে শুরু করেছে। ফলের সাইজও ভাল। তিন থেকে চারটি ড্রাগন ফলে এক কেজি হচ্ছে। ফুল আসার ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মাথায় ড্রাগন তোলা যায়। এক নাগাড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস ফল সংগ্রহ করা যায় বলে স্বপন জানান। চলতি বছরের গত ১৫ মার্চ থেকে পাকা ড্রাগন ফল বিক্রি শুরু করেছেন। ঢাকার ব্যবসায়ীরা বাগান থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। স্বপন আশা করছে তার ড্রাগন বাগান থেকে মে-নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ টাকার ড্রাগন ফল সংগ্রহ করা যাবে বলে আশা করছেন। দেশের বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদাও বেশ। কিন্তু ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে ড্রাগন ফল দেশের বাজারে প্রবেশ করায় দাম পড়ে যাওয়ার সাম্ভবনা রয়েছে।
আল আমিন সজল,
ঝিনাইদহ।