কোটচাঁদপুর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের টাকা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস”
ফাঁস হয়েছে কোটচাঁদপুর পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টারের টাকা আত্মসাতের ঘটনা। বিষয়টি ধামা চাপা দিতে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবার প্রতিশ্রুতি কতৃপক্ষের। তদন্তে গঠন করা হয়েছে দুই সদস্য বিশিস্ট কমিটি।
মামুনশিয়া গ্রামের গ্রাহক বিথি জানান,আমার মেয়াদী করে টাকা রাখা ছিল পোস্ট অফিসে। মেয়াদ পূরন হওয়ার পর দীর্ঘ ৮ মাস টাকা না দিয়ে আমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমি কয়েক দিন আগে টাকা পেয়েছি। গ্রাহক সত্য, আরতি, সুস্মিতা,বলেন,আমাদের টাকাও পোস্ট রাখা আছে।
ম্যানেজার টাকা মেরে নিয়ে গেছে শুনেছি। এ কারনে আমরা তো চিন্তায় আছি। কি হবে বুঝতে পারছি না। ব্রীজঘাট হালদার পাড়ার জোসনা মজুমদার জানান,ম্যানেজার আব্দুল মালেকের বাড়ি কোথায় তা আমার জানা নেই।
এ অফিসে আসা-যাওয়ায় ওনার সঙ্গে পরিচয়। সে সুবাধে টাকা রাখতে আসলে তিনি একটা সিলিপে সিল মেরে আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেয়। টাকা মার যাবার কথা শুনে অফিসে আসি। এখন তারা বলছে এটা আপনাদের ব্যক্তিগত লেনদেন এটার দায়ভার অফিস নিবে না। এখন আমি কি করব তা বুঝতে পারছি না। নামপ্রকাশ না করা শর্তে অফিস সুত্রে জানা যায়,গ্রাহকদের কাছ থেকে আব্দুল মালেক শুধু রশিদ দিয়ে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হবার পর তাকে এখান থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে খুলনা প্রশাসনিক অফিসে নিয়ে গেছে। তবে গ্রাহকদের তোপের মুখে তাঁর ছেলে জমি বিক্রি করে গ্রাহকদের কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকি টাকার কি হবে এটা নিয়ে সংশয়ে আছেন গ্রাহকরা।
কথা হয় কোটচাঁদপুর উপজেলা পোস্ট মাস্টার রবিউল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, আমি যোগদান করার পর এ ঘটনার কথা শুনলাম। আর ওই মাস্টারকে ৩০ অক্টোবর স্ট্যান্ড রিলিজ করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিস্ট কমিটি গঠন করেছেন কতৃপক্ষ।
যার মধ্যে একজন হলেন ঝিনাইদহ পোস্ট অফিস পরিদর্শক নজরুল ইসলাম,অন্যজন যশোর পোস্ট অফিস সুপার আনারুল ইসলাম। তিনি বলেন যা ঘটেছে অনেকটা ব্যক্তিগত লেনদেন। পরিচিতির কারনে।
অফিসিয়াল ভাবে যে সব লেনদেন হয়েছে তাদের কোন সমস্য হয়নি। বিষয়টি জানতে পোস্ট মাস্টার আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। কথা হয় ঝিনাইদহের পোস্ট অফিস পরিদর্শক নজরুল ইসলামের সঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর তাকে বদলী করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে দুই সদস্য বিশিস্ট কমিটি। এখন তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব না। গ্রাহকদের অবগতির জন্য এপর্যন্ত ৫/৬ শত চিঠি দেয়া হয়েছে।”