গরু খামারিদের চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
1 min read
ঝিনাইদহের কয়েক হাজার গরু খামারিরা এখন শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কোরবানির পশুকে প্রস্তুত ও আকষর্ণীয় করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।
তবে পশু খাদ্য ও ওষুধের দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি এবং পশু পরিবহনে রাস্তায়-রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন খামারিরা।
হরিণাকুন্ডের আদিল উদ্দিন জোয়ার্দ্দার জানান, কোরবানির ঈদের আরমাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তাই ভালো দাম পাওয়ার আশায় পশুকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে আর সেই সঙ্গে চলছে পশু পরিবহনের নানা ঝক্কি ও রাস্তায়-রাস্তায় চাঁদাবাজি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। বছরের পর বছর যেভাবে রাস্তায় বিভিন্ন ব্যানারে চাঁদা তোলা হয় তা শক্ত হাতে বন্ধ করা উচিৎ সরকারের এমনটাই দাবি তার।
গরু খামারি বছির উদ্দিন জানান, বছরের বিশেষ-বিশেষ সময়ে ইচ্ছে মতো গো-খাদ্য ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি বন্ধ করা উচিৎ।
গান্নার কওসার জানান, কোরবানির পশু পরিবহনের সময় রাস্তায়-রাস্তায় যেভাবে চাঁদাবাজি হয় তা বন্ধে এখন থেকেই সরকারের পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ। চাাঁদবাজি বন্ধ করতে পারলে পশুর দাম অনেকটাই কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) গোপীনাথ কানজিলাল জানান, আমরা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। রস্তায় বাড়ানো হয়েছে টহল, কোরবানির হাটগুলোতে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। এমনকি জেলায় যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য অমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহে এ বছর প্রায় ১৫ হাজার পরিবার ৪৫,০০০ হাজার কোরবানির গরু লালন-পালন করেছনি। যা এ কোরবানির ঈদে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ছড়িয়ে পড়বে সারাদেশে।