চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিহত চারজনের মধ্যে একজন ঝিনাইদহের বাসিন্দা জঙ্গি আবদুল্লাহ থাকতে পারে
1 min readচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগরের আস্তানায় অভিযানের সময় নিহত চারজনের মধ্যে একজন ঝিনাইদহের বাসিন্দা জঙ্গি আবদুল্লাহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে তার পরিবারের সদস্যদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হবে। দীর্ঘদিন ধরেই আবদুল্লাহকে খুঁজছিলেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা। সর্বশেষ গত ২১ এপ্রিল তাকে ধরতে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে অপারেশন সাউথ প চালায় সিটিটিসি। তবে অভিযানের আগেই আবদুল্লাহ পালিয়ে যায়। গোয়েন্দাদের ধারণা, ঝিনাইদহ থেকে পালিয়ে সে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি রফিকুল ইসলাম আবু ওরফে আবুল কালাম আজাদের আস্তানায় যায়। ওই দিন রাত পৌনে ৮টার দিকে বাসার ভেতর পরপর পাঁচটি বিস্ফোরণ ঘটে। গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই বিস্ফোরণে আবদুল্লাহসহ তিন জঙ্গি নিহত হয়। তবে তখনও আবু তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে পাশের কক্ষের বাথরুমে লুকিয়ে ছিল। তাদের কাছেও একাধিক ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ছিল। দায়িত্বশীল অন্য একটি সূত্র জানায়, আবদুল্লাহ জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে তার আস্তানায় নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মাইনুল ইসলাম মুসা, সাগর, বোমা মিজানসহ অনেকের যাতায়াত ছিল। আবদুল্লাহর আস্তানা থেকে ২০ কনটেইনার বিস্ফোরক, গ্রেনেড ও সুইসাইডাল ভেস্ট, প্রেশার কুকার বোমা, ৯ এমএম পিস্তল, আইইডি পাওয়া গেছে। আবদুল্লাহ নও মুসলিম। বছর তিনেক আগে সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে ধানহাড়িয়া গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়েকে বিয়ে করে। সিটিটিসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, এর আগেও বিভিন্ন সময় ঝিনাইদহে জঙ্গিদের তৎপরতার খোঁজ পাওয়া গেছে। হলি আর্টিসানে হামলায় জড়িত নিবরাসসহ অন্যদের ঝিনাইদহে একটি আস্তানায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আবদুল্লাহ একাধিক আলমসাধুর (ইঞ্জিনচালিত গাড়ি) মালিক। দরিদ্র অবস্থা থেকে হঠাৎ করে বিত্তবৈভবের মালিক হওয়ায় এলাকার অনেকের মধ্যে তাকে ঘিরে বিস্ময় রয়েছে।”