চার কাঁধে চড়ে মার কাছে গেলো ছেলে
1 min readনিহতের গ্রামের বাড়ি হাজারও জনতার ভিড়
ছেলে পুলিশে চাকরি করে বলে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয়। মা ইচ্ছে করলেই ছেলেকে দেখতে পান না। ছেলে বলেছিলেন কয়েক মাসের মধ্যেই বাড়ি আসবে তাই বৃদ্ধা মা অপেক্ষা করছিলেন ছেলের জন্য। ছেলে ঠিকই মার কাছে আসলো তবে হেটে নয় চার কাঁধে, কফিনে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালানোর সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ডিবি ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোলপুর গ্রাম নিজ বাড়ি এসে তার মা আয়েশা বেগম সঙ্গে কয়েকদিন ছিলেন জালাল উদ্দিন। ফিরে আসার সময় বলেছিলেন কয়েক মাস পর আবার আসবে।
বৃদ্ধা মা আয়েশা বেগম এখন শোকে পাথর। তিনি জানান, কয়েক মাস আগে জালাল উদ্দিন এসে থেকে গেছেন সেসময় বলেছিলেন ৩ মাস পর আবার আসবো। হঠাৎ করেই মধ্যরাতে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে তার বৃদ্ধা মা-সহ পরিবারটি।
ভোলপুর গ্রামের মৃত বিশারত মণ্ডলের ৭ সন্তানের মধ্যে নিহত জালাল উদ্দিন ছিল পরিবারের সেজো সন্তান। তারা ৫ ভাই ও দুই বোন। গ্রামের বাড়িতে যৌথ পরিবার হিসাবে অন্যান্য ভাইয়েরাও এক সঙ্গে বসবাস করে। কোনোভাবেই পরিবারটি মেনে নিতে পারছে না এই মৃত্যুর সংবাদ।
পুলিশের অভিযানকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে জালাল উদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন পরিবারটি। তারা সরকারের সহায়তা কামনা করেছেন।
গতকাল সোমবার মধ্যরাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী রাজধানীর মধ্যপীরের বাগের একটি বাড়িতে অবস্থান করছে- এমন সংবাদে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।