চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি ছাত্রলীগ নেতার
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উইমেন্স মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালি থানায় এ জিডি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের রেজিস্ট্রার ইশফাক জামান। তিনি বলেন, ‘উইমেন্স মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ থানায় জিডি করেছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিঞা বলেন, ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পেলে জিডি মামলা হিসেবে গৃহীত হবে।
ছাত্রলীগ নেতার হুমকি ও হয়রানির প্রতিবাদে এর আগে শনিবার দুপুরে কর্মবিরতি পালন করেন সিলেটের সবগুলো মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি পালন করেন এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতাল, নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ সময় চিকিৎসকদের কর্মস্থল নিরাপদ রাখার দাবি জানান তারা। অন্যথায় তারা লাগাতার কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে হুমকি প্রদানকারী কথিত ছাত্রলীগ নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
দুপুর ২টায় কর্মবিররি চলাকালে উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা প্রধান ফটকের সামনে বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্মস্থল ও ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের অনুসারী সারোয়ার হোসেনের নেতৃতে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মিলে পেটের পীড়ায় ভোগা এক কর্মীকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বলেন কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক।
এ নিয়ে বাদানুবাদে চিকিৎসদের ওপর চড়াও হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন ছোরা বের করে ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজিফা আনজুম নিশাতকে ছুরিকাঘাত ও ধর্ষণের হুমকি দেন। নিশাত নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি উল্লেখ করে পোস্ট দেন। এরপর শুরু হয় তোলপাড়।
ইন্টার্ন চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করা ও ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কর্মবিরতির ডাক দেন উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।
এদিকে, শনিবার ওই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।