ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের মারধর করলেন নতুন কমিটির সদস্যরা
1 min readঝিনাইদহ নিউজ ডেস্ক: মধুর ক্যান্টিনে মুখোমুখি অবস্থান নেন দু’পক্ষ।
সম্মেলনের এক বছর পর ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই কমিটিকে বিতর্কিত ও অবৈধ আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিতরা।
একপর্যায়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সেখানে হামলা চালিয়েছে সদ্য পদপ্রাপ্তরা। এতে ছাত্রলীগের হল কমিটির সাবেক নেতাসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভ করেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভের একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে যান পদবঞ্চিত এসব নেতাকর্মীরা। পদবঞ্চিত এসব নেতাকর্মীরা সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে, সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন সদ্য পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা। মধুর ক্যান্টিনে মুখোমুখি অবস্থান নেন পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তরা। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে গেলে পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা মুহুর্মূহ স্লোগান দিলে পদবঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন বাধাগ্রস্ত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সূত্র জানিয়েছে, এ সময় পদপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে কয়েকজন সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনকে ‘শিবির’ আখ্যায়িত করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় জাকিরের অনুসারীরা সংবাদ সম্মেলন রেখে দাঁড়িয়ে এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেললে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হলে আহত হন দশ নেতা-কর্মী।
এসময় চেয়ারের আঘাতে রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী দিশার মাথা ফেটে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এছাড়া- ছাত্রলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর ক্রীড়া সম্পাদক তানভীর ভুঁইয়া শাকিল, ডাকসুর সদস্য ও কুয়েত মৈত্রী হল ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক এবং রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তারও আহত হন।
মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফুজ্জামান আল ইমরান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, হামলায় আমি অংশ নেইনি। তবে আমি মধুর ক্যান্টিনে ছিলাম। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে হল কমিটির পদ-প্রত্যাশী অতি উৎসাহী জুনিয়ররা হাতাহাতি করেছে। আমরা যারা সিনিয়র ছিলাম তারা গিয়ে থামিয়েছি।