ঝিনাইদহের আসমা খাতুন যৌতুকের বলি হলো
1 min read
এবার যৌতুকের বলি হলো ২ সন্তানের জননী ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের তিওড়দহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের মেয়ে আসমা খাতুন। জানা যায়, ১১ বছর আগে তিওড়দহ গ্রামের হতদরিদ্র সোহরাব হোসেনের মেয়ে আসমার বিয়ে হয় মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের কলিম মোল্লার ছেলে মহব্বত হোসেনের সাথে। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিয়ের সময় টাকা-পয়সাসহ ব্যবহারির আসবাবপত্র দেয় সোহরাব হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুটি সন্তানও জন্ম নেয়।
সম্প্রতি মহব্বত হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য আসমা খাতুনকে চাঁপ দেওয়া শুরু করে। তার পরিবার টাকা দিতে না পারায় আসমাকে বিভিন্ন সময় মারধর করে তার স্বামীর পরিবার। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার যৌতুকের টাকা আনতে না পারায় আসমাকে মারধর করে বাড়ী থেকে বের করে দেয় যৌতুকলোভী স্বামীর পরিবার।
রোববার আসমার স্বজনেরা আসমাকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আবারো স্বামীর বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। টাকা দিতে না পারায় আসমাকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আসমার ভাই আরমান হোসেন জানান, আমার বোন টাকা নিয়ে যেতে না পারায় মহব্বত হোসেন তাকে হত্যা করেছে। মাগুরা সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলাম জানান, সুরতহাল করার সময় আসমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে না।
তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এদিকে মহব্বত হোসেনের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় আসমা হত্যার বিচার পাওয়া নিয়ে সংসয়ের মধ্যে রয়েছে আসমার ভাই আরমান আলী।