ঝিনাইদহের মিয়ার দালান ধ্বংসের পথে
1 min readআমাদের দেশে এক সময় জমিদারী প্রথা চালু ছিল। স্থানীয় জমিদার বা শাসকরা বিলাসবহুল দৃষ্টিনন্দন ইমারত নির্মাণ করতেন। তবে আস্তে আস্তে জমিদারী প্রথার পতন ঘটে। কিন্তু সেই স্থাপত্য এখনো রয়ে গেছে। পরিণত হয়েছে দর্শনীয় বস্তুতে। তেমনি এক নিদর্শন মিয়ার দালান।
অবস্থান : মিয়ার দালান ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় অবস্থিত একটি পুরানো জমিদার বাড়ি। এটি নবগঙ্গা নদীর উত্তর দিকে অবস্থিত। ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।
নির্মাণকাল : প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী ইমারতের প্রধান ফটকে নির্মাণকালের কথা কাব্যিকভাবে খোদাই করা আছে। তাতে লেখা, শ্রী শ্রী রাম, মুরারীদহ গ্রাম ধাম, বিবি আশরাফুন্নেসা নাম, কি কহিব হুরির বাখান। ইন্দ্রের অমরাপুর নবগঙ্গার উত্তর ধার, ৭৫,০০০ টাকায় করিলাম নির্মাণ। এদেশে কাহার সাধ্য বাধিয়া জল মাঝে কমল সমান।
বৈশিষ্ট্য: বলা হয়ে থাকে, বাড়িটি থেকে নবগঙ্গা নদীর নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ছিল। সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ এখনো চিহ্নিত করা যায়। নদীতে যেভাবে বাধ দিয়ে ইমারতটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেভাবে তৈরি আর কোনো পুরনো ইমারত ঝিনাইদহ শহরে দেখা যায় না। বাড়িটির ব্যাপক পরিচিতির একটি বড় কারণ একটি বিশেষ খেজুর গাছ। যে গাছটিতে একাধিক মাথা ছিল এবং প্রতিটি মাথা থেকেই রস আহরণ করা যেত।
কীভাবে যাবেন : দেশের যেকোনো স্থান থেকে ঝিনাইদহ শহরে পৌঁছে ইজিবাইক, ভ্যান, রিকশাযোগে মিয়ার দালান জমিদার বাড়ি যাওয়া যায়।
ইতিহাস: যতদূর জানা যায়, যে জমিদার এই দালানটি নির্মাণ করেন তিনি ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় ভবনটি বিক্রি করে দেন সেলিম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির কাছে। তাই ভবনটিকে স্থানীয় ভাবে কেউ কেউ সেলিম চৌধুরীর বাড়িও বলে থাকে। কলিকাতার রাজ চন্দ্র রাজ, ১২২৯ সালে শুরু করি কাজ, ১২৩৬ সালে সমাপ্ত দালান। বঙ্গাব্দ ১২৩৬ সালে নির্মাণ শেষ হওয়া এই ইমারতটি রক্ষনাবেক্ষণ করা গেলে সেটা ঝিনাইদহ শহরের একটি উল্লেখযোগ্য বিনোদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। জমিদার এই বাড়িটি নির্মাণ করেন তিনি ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময় ভবনটি বিক্রি করে দেন সেলিম চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির কাছে।
ভবনটিকে স্থানীয়ভাবে কেউ কেউ সেলিম চৌধুরীর বড়ি ও বলে থাকে। বলা হয়ে থাকে বাড়ি টি থেকে নবগ্ঙ্গা নদীর নিচ দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ ছিল। সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ এখনো চিহ্নিত করা যায়। নদীতে যেভাবে বাধ দিয়ে ইমারতটি নির্মাণ করা হয়েছিল সেভাবে তার কোন পুরানো ইমারত ঝিনাইদহ শহরে দেখা মেলে না। বাড়িটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিতি বাড়িতে থাকা একটি বিশেষ খেজুর গাছ।
যে গাছটিতে একাধিক মাথা ছিল এবং প্রতিটি মাথা থেকেই রস আহরণ করা যেতো। ঝিনাইদহের এই পুরানো জমিদার বাড়িটি মেরামত করতে পারলে এলাকার মানুষ আবার ও পুরাতন কারুকার্য দেখতে পেত। রক্ষণা-বেক্ষণের অভাবে বাড়িটি আজ ধবংসের পথে। বাড়িটি দেখারমত এখন আর কেউ নেই। ঝিনাইদহের এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করতে প্রায় ৮ বছর সময় লেগেছিল।”