ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের কমিটিতে একই নামের দুই নেতার সভাপতি পদ দাবি!
1 min readঝিনাইদহ নিউজ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দাবি করা দুই ছাত্রলীগ নেতার নাম একই। নাজমুল হোসেন নামের দুই ছাত্রলীগ নেতা এ দাবি করছে। আর এই পদ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
দুইজনই স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেদের সভাপতি বলে দাবি করছে। তারা কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি দাবি করছে।
সভাপতি দাবি করা দুই নাজমুল হোসেনের একজনের বাড়ি উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে ও অন্যজনের বাড়ি মল্লিকপুর গ্রামে।
জানা গেছে, গত ৬ জুলাই রাতে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নাজমুল হাসান নাজিমকে সভাপতি, মনির হোসেন সুমনকে সাধারণ সম্পাদক ও জাবেদ হোসেন জুয়েলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করেন।
এর ৪ দিনের মাথায় গত ১০ জুলাই সভাপতি নাজমুল হাসান নাজিমকে গঠনতন্ত্রের বয়সসীমা অতিক্রম ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ হোসেন জুয়েলের বিবাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দুইজনকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
একই প্যাডে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেনকে সভাপতি ও মোঃ রিয়াজউদ্দিনকে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর নাজমুল হোসেন নামের দুই ছাত্রলীগ নেতা নিজেদের সভাপতি ও সাবেক সহ-সভাপতি বলে দাবি করে।
এদিকে ৬ জুলাই ঘোষিত কমিটি থেকে সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেছে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ। ১০ জুলাই রাতে কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেছে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ।
আগের কমিটি বহালের দাবিতে ১১ জুলাই সকালে সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।
সভাপতি দাবি করা মনোহরপুর গ্রামের নাজমুল হোসেন বলেন, আমিই গত কমিটির সহ-সভাপতি। উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আমি অংশগ্রহণ করেছি। এ বিষয়ে আমার কাছে যথেষ্ঠ তথ্য প্রমাণ আছে এবং আমিই সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি।
অন্যজন সভাপতি দাবি করা মল্লিকপুর গ্রামের নাজমুল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসরাইল হোসেন বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই ঘোষিত কমিটিতে তাকে সভাপতি ও কাজী রিপনকে সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে কমিটি দেয়া হয়। এই কমিটিতে নাজমুল হোসেন নামে একজন সহ-সভাপতি ছিল। গ্রুপিংয়ের কারণে দুই নাজমুলই নিজেদের সহ-সভাপতি পরিচয় দিত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা কমিটিকে অবহিত করা হলেও তখন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।