ঝিনাইদহে তুলা চাষীদের মাথায় হাত
1 min read
ঝিনাইদহে গত ৭ দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির তুলার ক্ষতি হয়েছে। এতে হাজারো তুলা চাষী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামের তুলা চাষী বশারত আলী জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে তুলা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে পরিচর্যা, কীটনাশক ও সার প্রয়োগ, বাজারে সরবরাহসহ সব মিলিয়ে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
হামিরহাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক জানান, এবার বৃষ্টিতে তার জমির ৯০ শতাংশ গাছ পানির নিচে ডুবে গেছে। তিনি জানান, অন্য বছরগুলোতে বৃষ্টি হলেও দীর্ঘ সময় চলে না।
ঝিনাইদহ তুলা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬ উপজেলায় এবার ৩,৪০০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ হয়েছে। কম খরচে তুলা চাষে বেশি লাভ পাওয়া যায়। এই কারণে এ বছর সদর উপজেলা, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু টানা বর্ষণে সব তুলা ক্ষেতই এখন হাটু পানির নিচে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৬টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সদর উপজেলার কটন ইউনিট অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, অতি বৃষ্টির কারণে সদ্য বপন করা ৭০০ হেক্টর তুলার জমি নষ্ট হয়ে গেছে। আর ৩০০ হেক্টর জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝিনাইদহের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কুতুব উদ্দীন জানান, তুলা চাষীরা যে সময়ে তাদের তুলার চারা বপন করছে সেই সময়ে এই বৃষ্টি তাদের মারাত্মক ক্ষতি করে দিয়েছে।