ঝিনাইদহে ফার্মেসীগুলোতে ২৫ টাকার ওষধ ৩’শ টাকা
1 min readঝিনাইদহ নিউজ:
ঝিনাইদহে ফার্মেসীগুলোতে ইচ্ছা মাফিক বিভিন্ন ওষধের দাম নেয়া হচ্ছে ক্রেতা-রোগীদের কাছ থেকে । বিশেষ করে সিজারিয়ান ওষধগুলোর দাম যেন গলাকাটা হাওে আদায় করা হচ্ছে। এভিডিল নামের একটি ওষধের দাম মাত্র ২৫ টাকা সেখানে ফার্মেসীগুলো নিচ্ছে ৩’শ থেকে ৫৭০ টাকা কখনো তারও বেশী । সোলাস নামের বিদেশী একটি ওষধের দাম নিচ্ছে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকা করে । যার দাম মাত্র ১৫ টাকা বলে জানা গেছে । এমন পরিস্থিতিতে আজ রবিবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত র্যাবের সহোযোগীতায় অভিযানে নামে জেলা শহরের ফার্মেসীগুলোতে । জেলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন শহরের হামদহ এলাকার মাতৃছায়া ফার্মেসী, পান্না ফার্মেসী ও সিদ্দিক ফার্মেসী থেকে নাড়– গোপাল, সিরাজ উদ্দিন ও নাসির বিশ্বেস নামের ৩ ক্রেতা তাদের সিজারিয়ান রোগীর জন্যে এভিডিল ও সোলাস ওষধ কিনতে যায় । এসময় হাতে-নাতে ভ্রাম্যমান আদালতের টিম মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখার দায়ে ঐ তিন ফার্মেসী কে ২০ হাজার টাকা করে অনাদায়ে ১মাসের কারাদন্ডাদেশের আদেশ দেন । তবে সবাই দোষ স্বীকার করে জরিমানা দেয় । ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন আবু সালেহ মো: হাসনাত । এসময় র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম সহ র্যাবের টিম উপস্থিত ছিল ।
ফার্মেসীতে চড়া মুল্যে ওষধ কেনা প্রসঙ্গে রিক্সা চালক সিরাজ উদ্দিন জানান, তার সিজারিয়ান রোগীর জন্য রিক্সা বিক্রি করে ওষধ কিনতে এসেছেন ফার্মেসীতে । কিন্তু কত কি দাম ওষধের তা সঠিক জানেন না, তারা যা বলছে সেটাই দিয়েছেন। ওষধ কিনতে এসে প্রতারনার স্বীকার নাড়– গোপাল ও নাসির বিশ্বেস কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মো: হাসনাত জানান ফার্মেসীগুলোতে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪০ধারা লঙ্ঘন করে চড়া মানে ওষধ বিক্রি করা হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে আজ অভিযান চালানো হয়েছে । কয়েকটি ফার্মেসীতে গিয়ে এসবে সত্যতা ও হাতে-নাতে প্রমাণ পাওয়ায় জেল-জরিমানা করা হয়েছে ।
এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৫ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই টিম।
দন্ডিতরা হলো সদর উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের জলিল মালিতার ছেলে সজল মালিতা (৩০), পুর্ব নারায়ণপুর গ্রামের তাসেম আলীর ছেলে জামিরুল ইসলাম (৩৫), দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে রানা (২৫), কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের ভোলার ছেলে সুজন হোসেন (২৮) ও সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে সানাউল্লাহ (৪৫)।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে থাকা র্যাব জানায়, সদর হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগিরা দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে এমন অভিযোগে দুপুরে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়। পরে আদালত বসিয়ে অভিযোগ স্বীকার করলে সজল, জামিরুল, রানা ও সুজন হোসেনকে ৫ দিন করে কারাদন্ড ও ২’শ টাকা করে জমিনারা এবং সানাউল্লাহকে ২’শ টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযানে র্যাব-৬, সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।