ঝিনাইদহে বিভিন্ন ঘটনায় যারা আলোচিত ২০১৬ সালে বিশ্ব মিডিয়ায়
1 min read
২০১৬ সাল ছিল ঝিনাইদহের জন্য একটি আলোচিত বছর। ঝিনাইদহের নানা প্রান্তে বিভিন্ন মতালম্বি ব্যক্তিকে হত্যার পর কথিত আইএস থেকে দায় স্বীকার করে বিবৃতি প্রচার করে। ফলে বিশ্ব মিডিয়ায় উঠে আসে ঝিনাইদহের নাম।
বিশেষ করে ঝিনাইদহের দুই হিন্দু পুরোহিত, খৃষ্টান ও শিয়া মতবাদের দুই চিকিৎসককে গুপ্ত হত্যার পর জেলা ব্যাপী আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সাথে ঢাকার হলি আর্টিজেনে হামলার পর ঝিনাইদহে জঙ্গী ঘাঁটি আবিস্কার নিয়ে দেশ বিদেশের মিডিয়ায় একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা টিম ঝিনাইদহের মাঠে নামে। সন্ত্রাস দমনে পুলিশ ও র্যাব ফিরে সাফল্য পায়।
ঝিনাইদহ থেকে নির্মুল করা হয় তাদের। পুলিশ প্রত্যেকটি হত্যার ক্লু ও মোটিভ উদ্ধার করতে পারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে। অন্যদিকে পুলিশ অভিযানের সময় একের পর এক কথিত বন্দুক যুদ্ধে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা নিহত হন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সব ঘটনায় শিবির কর্মীদের সম্পৃক্ততার তথ্য জানায়।
বিশেষ করে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান ও ঝিনাইদহের তৎকালীন পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন মিডিয়ার কাছে শিবির কর্মীদের জড়িত থাকার তথ্য প্রকাশ করেন। ধারাবাহিক হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ বরাবরই আইএস ও জঙ্গীর বিষয়টি অস্বীকার করে। এমনকি হলি আর্টিজেন ঘটনার সাথে জড়িতরা ঝিনাইদহে কোন ঘাঁটি গড়েনি বলেও জানায় পুলিশ।
তবে ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ার একটি ছাত্রাবাসের কাজের বুয়া ছবি দেখে মিডিয়ার কাছে জানিয়েছিলো নিবরাস ইসলাম ও আবির রহমান ছাত্রাবাসটিতে ছিলেন। এলাকার যুব কিশোরাও বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলো মিডিয়ার কাছে।
এছাড়া জেলায় বিদায়ী বছরে ঝিনাইদহে ৫৫ জন বিভিন্ন ভাবে খুন হয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬৩ জন।
২০১৬ সালের আইন শৃংখলা নিয়ে জেলা পিেুশর মুখপাত্র আজবাহার আলী শেখ জানান, জেলায় সংঘটিত সব হত্যার ক্লু ও মোটিভ পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে। জেলার সার্বিক আইন শৃংখলা আগের চেয়ে অনেক ভাল। তিনি জানান, সব হত্যা মামলার আসামীরা গ্রেফতার হয়ে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে। মামলাগুলোতে এখন বিচারাধীন রয়েছে। তিনি পজেটিভ ঝিনাইদহ গড়তে সকলের সহায়তা কামনা করেন।