ঝিনাইদহে মসুরির বাম্পার ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক
1 min readঝিনাইদহ জেলায় এবার মসুরির বাস্পার ফলন হয়েছে। ৬টি উপজেলা মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ, শৈলক’পা, হরিণাকুন্ড ও সদর উপজেলায় এবার ২১শ হেক্টর জমিতে মসুরির চাষের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছিল জেলা কৃষি অফিস। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার থেকে প্রায় একশ হেক্টও বেশী জমিতে মসুরির আবাদ হয়েছে এবার। ভার ফলন পেলেও দাম কম হওয়ায় হতাশ কৃষক।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার ২২শ হেক্টর জমিতে মসুরির চাষ হয়েছে। সঠিক সময় সার, বীজ বপন, কীটনাশক প্রয়োগ, উন্নত জাত নির্বাচন ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছেন। ঝিনাইদহ জেলার চলতি রবি মৌসুমে ৬টি উপজেলায় এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ২ হাজার ৭শত ৫০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ৪হাজার ৬শত ৮০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ১হাজার ৯শত ৯৫ হেক্টর. মহেশপুরে ৬হাজার ৯শত ৬৫ হেক্টর, শৈলকুপায় ৪হাজার ৫০ হেক্টর ও হরিণাকুন্ডু ১হাজার ২শত হেক্টর জমিতে মসুরির আবাদ করা হয়।
শৈলকুপার চাষী সলেমান উদ্দিন জানায়, বর্তমানে কৃষক-কৃষানী মসুরির মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাম্পার ফলন হলেও দাম কম পাচ্ছে কৃষক। সে কারণে কিছুটা হতাশা ব্যক্ত করেছে প্রান্তীক কৃষক।
মহেশপুরের কৃষক কামাল মিয়া জানান, বিঘা প্রতি ৮/১০মন হারে মসুরির ফলন হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। বর্তমানে প্রতিমন মসুরি কৃষকেরা বাজারে ২৭শত থেকে ২৮শত টাকা হারে বিক্রি করছেন। তবে কৃষকেরা মসুরির দাম কম হওয়ায় কিছুটা হতামা ব্যক্ত করে। গত বছর যা ছিল ৩হাজার থেকে ৩২শ টাকা।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসাধারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ্ মোহাঃ আকরামুল হক জানান, ফলন ভাল হওয়ায় বাজার দও বর্তমানে একটু কম। এ অর্থকরী ফসলের চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে এ জেলাতে। তবে আস্তে আস্তে বাজার স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করেন।