ঝিনাইদহে মানবপাচারকরীরা এখনও সচেষ্ট
1 min readথেমে নেই ঝিনাইদহরে মানব পাচারকারীরা। তারা তাদের কর্মকান্ড চারিয়ে যাচ্ছে আজও প্রকাশ্যে। গ্রামের সহজ-সরল যুবকদের টার্গেট করে বিদেশে ভাল চাকুরির লোভ দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে দিনের পর দিন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামের ব্রীজ পাড়ার ইসলামের ছেলে তুহিন রেজা’র পরিবারের অভিযোগ, তাদের সন্তান তুহিন (২৩) ২০১১ সালে লিবিয়া যাবার জন্য মহামায়া ও বেজিমারা গ্রামের ৪ দালাদের সাথে চুক্তি করে। অবশেষে একই বছরের মার্চ মাসে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। এরপর বিদেশ পাঠানোর নামে চলতে থাকে নানা টালবাহানা।
বছর দুয়েক পর দালালরা জানান, লিবিয়ার আবস্থা ভাল নয়। সেখানে ভাল কাজের মাধ্যমে বেশি টাকা বেতনে চাকুরি দেয়া সম্ভব নয়। পরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে ইরাক বা কাতারে যাবার সিন্ধান্ত দেয়। ফ্লাইটের নামে তুহিনকে দফায় দফায় ১৬ বার ঢাকায় নিয়ে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ একই খরচে মালেয়েশিয়ায় পাঠিয়ে বেতনে ভাল চাকুরি দেয়া সম্ভব বলে জানান। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে দালালের কথা মত মালেয়েশিয়ায় যেতে রাজি হয়।
তুহিনকে গত ১২ জুলাই ঢাকায় যাবার জন্য বলা হয়। তুহিন ১৪ জুলাই মালেয়েশিয়ায় পৌছে। দালালচক্র তুহিনকে আটকিয়ে পরিবারের নিকট দেড় লাখ টাকা দাবি করে। আর দাবিকৃত টাকা আদায়ের জন্য তুহিনকে দফায় দফায় পাশবিক নির্যাতন করা হয়। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে তুহিনের পরিবার গরু, জমি বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা পরিশোধ করেন। ততক্ষনে টাকা আদায়ে জন্য দফায় দফায় নির্যাতনে তুহিনের দুই পা এবং একত হাত ভেঙে দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তুহিনের নিকট আরো দশ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে না পারাই তিন তলা বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
এ বিষয়ে তুহিনের মা রোকেয়া খাতুন জানান, এই ঘটনায় তুহিনের পিতা ইসলাম বাদি হয়ে মহামায়া গ্রামের মধু, আসাদ এবং বেজিমারা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ওরফে পল্টু ও তোরাফ আলিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দাখিল করেছেন। সরকার যদি সচেষ্ট হয় তবে অবশ্যই আমার তুহিন আমার বুকে ফিরে আসতে পারে।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার উপদরিদর্শক আশোক জানান, এই ঘটনায় মহামায়া গ্রামের মধু, আসাদ এবং বেজিমারা গ্রামের মাহফুজুর রহমান ওরফে পল্টু ও তোরাফ আলিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দাখিল করেছেন। যা আমারা তদন্ত করে দেখছি।