Sun. Dec 22nd, 2024

ঝিনাইদহ নিউজ

সবার আগে সর্বশেষ

ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে অমানবিক নির্যাতন

1 min read
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে অমানবিক নির্যাতন

ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে অমানবিক নির্যাতন

ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে অমানবিক নির্যাতন
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে অমানবিক নির্যাতন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের দিপিকা মন্ডল (২৫) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের দবিতে অমানবিক নির্যাতন করেছে পাশন্ড স্বামী ও ননদ। হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রনায় ছটফট করছে গৃহবধু দিপিকা। কষ্টের কথাটুকু জানানোর একজনই জীবিত আছেন,  সেও পাশে নেই। পিতৃহীন দিপিকার মায়ের ফোন নম্বরটাও মনে নেই তার। মমতাময়ী মাকে তার এ দূরাবস্থার কথা জানিয়ে খবর দিবেন তারও উপায় নেই। যৌতুকের দাবীতে স্বামী ও ননদের বেধড়ক লাঠিপেটায় সমস্থ শরীর জখম হয়ে যাওয়া দিপিকার ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। ব্যাথার যন্ত্রনায় ঠিকমত কথাও বলতে পারছেন না তিনি। গুরুতর আহত দিপিকাকে মঙ্গলবার রাতে ইউপি সদস্য আলমঙ্গীর হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে এনে ভর্তি করেছেন। ঔষুধ কেনা কিংবা প্রয়োজনে কারো সাহায্য নেওয়ার মতো আপন জন বলতে কেউ থাকছেনা তার পাশে। ভরষা অন্য রোগীর লোকজন। ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টিতে যেন এমনটিই বোঝাচ্ছিলেন তিনি।

দিপিকা মন্ডল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার বাদলশো গ্রামের মৃত গোপী মন্ডলের এক মাত্র মেয়ে। মা দিপালী মন্ডল পরের বাসায় কাজ করেন। তার পক্ষের জামাইয়ের ১লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া সম্ভব না। বড় আশা করে ৮ বছর আগে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাসের সাথে বিয়ে দেন তার। আর সেই যৌতুকের টাকার জন্য পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন দিপিকাকে।

আজ বুধবার ৫টার দিকে হাসপাতালে দিপিকার খোঁজখবর নিতে গেলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে স্বামী সঞ্জয় যৌতুকের জন্য প্রায় তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। মায়ের সামর্থ নেই জামাইয়ের দাবীকৃত যৌতুকের টাকা দেওয়ার। তাই মুখ বুজে নির্যাতন সহ্য করতেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে স্বামী ও ননদ দুইজনে মিলে বেধড়ক পিটিয়েছে তাকে। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য আলমঙ্গীর হোসেন ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় তিনি হাসপাতাল পর্যন্ত এসেছেন। দিপিকার ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে।

উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, যৌতুকের জন্য দিপিকাকে তার স্বামী প্রায় মারধর করতো। মঙ্গলবার লাঠি দিয়ে অতিরিক্ত মারপিট করেছে। প্রায় অর্ধমৃত অবস্থায় প্রতিবেশিদের সহায়তার দিপিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, গত দুই বছর আগেও এমন নির্যাতনের কারণে দিপিকার মায়ের অভিযোগের আলোকে বিচার শালিশ করা হয়। অসহায় মেয়েটিকে দেখার কেউ নেই। তার চিকিৎসা খরচ চালানোর জন্য তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। নির্য়াতীত গৃহবধুর পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইন সম্মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *