ঝিনাইদহ মানুষের প্রাণের দাবি দত্তনগরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চাই
1 min readদত্তনগর কৃষি খামার ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগরের হেমেন্দ্র নাথ দত্তের সবজি খামারটি এশিয়ার বৃহত কৃষি খামার গুলোর অন্যতম। ১৯৪০ সালে হেমেন্দ্র নাথ দত্তের খামারটি প্রায় তিন হাজার (৩০০০) একর জমির উপর এ খামারটি প্রতিষ্ঠিত।
দত্তনগর এ বিশাল খামারের আওতায় ৫টি ফার্ম আছে। সেগুলো হচ্ছে গোকুলনগর, পাতিলা, মথুরা, খড়িংচা এবং কুশডাঙ্গা। ফার্ম গুলোর মোট জমির পরিমাণ দু’হাজার ৭৩৭ একর। আবাদী জমির পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার একর। নীচু জমি আছে ৬শ’একর এবং বিল এলাকা আছে ২শ’একরের উপর। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর এইচ দত্ত দত্তনগর খামার ছেড়ে কলকাতায় চলে যান। ম্যানেজার ও কর্মচারিরা খামার দেখাশুনা করতে থাকেন। ১৯৪৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার দত্তনগর খামার অধি গ্রহন করে এবং কৃষি বিভাগের উপর পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। ১৯৬২ সালে ফার্মের যাবতীয় সম্পত্তি কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএডিসি বিভিন্ন শস্য বীজ উৎপাদনে খামারটি কাজে লাগায়।
অফিস, বাস ভবনসহ নানান স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। সেচের জন্য বসানো হয় গভীর ও অগভীর নলকূপ। আর ক্ষেতে পানি সরবরাহের জন্য পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হয়। আগে শ্রমিক দিয়ে শস্য কর্তন ও মাড়াই করা হতো। এখন বড় বড় মেশিনের সাহায্যে ফসল কাটা ও মাড়াই করা হয়। সেচের জন্য ৩৬টি গভীর, ১৩টি অগভীর এবং ১০টি পাওয়ার পাম্প রয়েছে।