ঝিনাইদহ মোবারকগঞ্জের চিনি ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে
1 min readঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের চিনি বিক্রি না হওয়ায় অবশেষে বাধ্য হয়েই চিনিকল কর্তৃপক্ষ ট্রাকে ভরে যশোর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন বাজারে ফেরি করে চিনি বিক্রি শুরু করেছে। ৪০ টাকা দরে প্রতিদিন মিলের রেশন সপ থেকে ২কেজি, ৫কেজি ও ১০ কেজির প্যাকেটে ভরে ট্রাক যোগে এই চিনি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, মোবারকগঞ্জ চিনিকলে গত ৩টি আখ মাড়াই মৌসুমে উৎপাদিত প্রায় ৭০ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চিনি বিক্রি না করতে পারায় কৃষকদের আখ বিক্রির টাকা, শ্রমিক কর্মচারীদের ২ মাসের বেতন ও ৩ মাসের অভারটাইম বকেয়া রয়েছে। ঠিকমতো আখচাষীদের টাকা দিতে না পারায় তারা আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। যার কারনে যশোর ও ঝিনাইদহের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসক এ এর সহযোগিতায় স্থানীয় বাজারে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র করে প্রতিদিন ১৫ টন করে চিনি বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, প্রতিকেজি চিনি ৪০ টাকা দরে এবং ৫০ কেজির বস্তা ১৮৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে বেশ সাড়া পাচ্ছে বলে তিনি জানান। খোলাবাজারে এভাবে প্রায় ৫০ টন চিনি ইতিমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে।
মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম নবী জানান, মোবারকগঞ্জ চিনিকলে উৎপাদিত আখের চিনি কেমিক্যালমুক্ত, মিষ্টি বেশি, স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু। আখচাষী,মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-বোনাস না পেয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাধ্য হয়েই তারা এভাবে চিনি বিক্রি শুরু করেছেন। এভাবে চিনি বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
গত ২ দিন ধরে ঝিনাইদহ কেসি কলেজে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহে ট্রাকে করে ভ্রাম্যমান দোকান বসানো হয়েছে। যেখান থেকে স্থানীয় লোকজন চিনি ক্রয় করতে দেখা গেছে। তবে ক্রেতারা দাবি তুলেছেন খোলাবাজার থেকে নিম্ন মানের চিনি ক্রয় করতে হয় ৪৮ টাকা দরে। আর মোবারকগঞ্জ চিনিকলের চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলা শহরে যদি একটি করে স্থায়ী দোকান বসানো হয় শুধু চিনি বিক্রির জন্য তাহলে সেখান থেকে স্থানীয়রা কম দামে দেশীয় চিনি ক্রয় করতে পারবেন। এবং মিলের অবিক্রিত চিনি খুব শ্রীঘ্রই বিক্রি হয়ে যাবে।