ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ১৫ কিলোমিটার রাস্তার আবারো বেহাল অবস্থা
1 min readঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহ শহর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে আবারো ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই গর্তে পড়ে ছোটখাটো যানবাহন দুর্ঘটনায় পড়ছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এ মহাসড়কটি নতুন করে করা হলেও ৬মাস যেতে না যেতেই সেই বেহাল দেখাযায় আবার।
ওই মহাসড়কে চলাচল করা ছোট যানবাহনের চালকেরা জানান, ঝিনাইদহ শহর থেকে কালীগঞ্জ উপজেলা শহর পর্যন্ত রাস্তাটি মোটামুটি ভালো ছিল। দু-একটি স্থানে অল্প কিছু সমস্যা ছাড়া তাঁরা নির্বিঘ্নেই চলাচল করছিলেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ-পাথর উঠে যেতে থাকে। বর্তমানে কোথাও কোথাও সাত-আট ইঞ্চি গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের বেজপাড়া থেকে বিষয়খালী বাজার পর্যন্ত অংশে অত্যন্ত নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে।
ব্যাটারিচালিত তিন চাকার যান ইজিবাইকের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার পর এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই যায় না। গাড়ির আলোয় গর্তগুলো ঠিকমতো দেখা যায় না। এ কারণে প্রায়ই গাড়ি গর্তে পড়ে যায়। কয়েক দিন আগে কয়ারগাছি এলাকায় গর্তে পড়ে তাঁর গাড়ির বেশ ক্ষতি হয়। গাড়িটি মেরামত করতে ৬০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে।
মহাসড়ক-সংলগ্ন দোকানঘর বাজার এলাকার দোকানদার আবদুর রশিদ জানান, গর্তের কারণে মোটরসাইকেল চালকেরা সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। প্রায়ই এসব গর্তে পড়ে তাঁরা আহত হচ্ছেন।
বাসচালক মনিরুল ইসলাম বলেন, চাকা গর্তে পড়ে গেলে অনেক সময় দ্রুত গতির বাসও সামলানো খুবই কষ্টের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। কখনো কখনো গর্ত পাশ কাটাতে গিয়ে গাড়ি উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। দ্রুত গর্তগুলো ভরাট না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
রাস্তাটি মাঝে মধ্যেই সংস্কার করতে দেখা গেলেও তা স্থায়ী হয়না খুব বেশি দিন। চলাচলের উপযোগী করতে ইট দিয়ে বাস্তার গর্তগুলো ভরাটের চিত্র দেখা যায় সরজমিনে। ধীরে ধীরে আবারো চলাচলের অযোগ্য হতে চলেছে এই মহাসড়কটি।