ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ওষুধ ও জনবল সংকট
1 min readবহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে প্রতিদিন যে পরিমাণ রোগীর চাপ সেই তুলনায় এখানে শয্যা সংখ্যা একেবারেই কম। যার কারণে রোগীদের হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। তাছাড়া রোগীরা ঠিকমতো হাসপাতাল থেকে ওষুধ পায় না।’ এভাবেই অভিযোগ করেন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৮৯০ সালের দিকে শহরের ছবিঘর সিনেমা হলের পশ্চিম দিকে ব্রিটিশ আমলে ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর ১৯৭০ সালে হাসপাতালটি ৩১ শয্যায় উন্নীত করে শহরের হামদহ এলাকায় খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে স্থাপন করা হয়। ১৯৮৪ সালে হাসপাতালটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরে এটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সদর হাসপাতালটি সম্প্রতি ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে প্রতিদিন ৫০/৬০ জন ভর্তি হন। হাসপাতালে মাত্র ২২ জন চিকিৎসক প্রতিদিন চিকিৎসা প্রদান করছেন।
সদর হাসতাপালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার স্বপন কুমার কুন্ডু জানান, সদর হাসপাতালের ১০০ শয্যার জন্য বছরে ১ কোটি ৩ লাখ টাকার ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম বরাদ্দ হয়। সেই অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর জন্য বরাদ্দ করা টাকায় বহির্বিভাগের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সরকারি নির্দেশনা মতে বিনামূল্যে ৫০ থেকে ৬০ আইটেমের ওষুধ ফ্রি দেয়া হয়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগী ও বহির্বিভাগের রোগীদের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় হাসপাতালের স্টোরে ওষুধ থাকলেও সেগুলো রোগীদের দেয়া হয় না।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জানান, সদর হাসপাতালসহ জেলার ৬টি উপজেলায় মোট ৬৩ জন চিকিৎসক ১৯ লাখ মানুষের সেবা প্রদান করছেন। হাসপাতালে প্রায় অর্ধশতাধিক চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে।
এর মধ্যে চক্ষু, শিশু, চর্ম, নাক-কান-গলা, রেডিওলজিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ খালি রয়েছে। বছরে যে পরিমাণ টাকার ওষুধ হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয় তা যথেষ্ট নয়। কমপেক্ষ ৪/৫ কোটি টাকার ওষুধ বরাদ্দ দিলে জেলার ১৯ লাখ লোক কিছুটা হলেও ওষুধ পেত।