ডুবে যাওয়া লঞ্চ শনাক্ত, চলছে উদ্ধারের প্রস্তুতি
1 min readপাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি (এমভি মোস্তফা-৩) শনাক্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে লঞ্চটি শনাক্ত করে রশি বাঁধা হয়। সেটি উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিআইডব্লউটিএ-এর ইনল্যান্ড ট্রাক ৮-৩৮৯। এ ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর জিহাদ মিয়া জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ৩৫থেকে ৪০ ফুট গভীরে রয়েছে। লঞ্চের সামনের দিকটা রয়েছে নিচের দিকে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের মাস্টার আফজাল হোসেন জানান, পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে পণ্যবাহী একটি কার্গো’র ধাক্কায় ডুবে যায় এমভি মোস্তফা-৩।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের উদ্ধার হওয়া যাত্রী জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় তিনিসহ কেবিনের বাইরে থাকা যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে অন্য লঞ্চ ও ট্রলারে উঠতে সক্ষম হয়।তবে লঞ্চের ভেতরে থাকা শতাধিক যাত্রী বের হতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকা থেকে আসা একটি কার্গো লঞ্চটির মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লঞ্চটি ডান দিকে উল্টে ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চের ফল বিক্রেতা রমজান আলীর শ্যালক সাইদুল ইসলাম জানান, তার ভগ্নিপতির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রমজানের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার অন্তার মোড়ে।
অপর এক সংবাদে জানা যায়, এ ঘটনায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৬৫ জন। এসময় সাঁতরে প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী অপর একটি লঞ্চে উঠে প্রাণে বেঁচে গেছে। স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় লোকজন। লঞ্চে এসময় ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জের আরিচায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে শতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি মোস্তফা নামের লঞ্চটি ডুবে গিয়েছে। রোববার বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লঞ্চটিকে একটি কার্গো ধাক্কা দিলে যাত্রীসহ নদীতে ডুবে যায় বলে জানা গেছে।