ধানের জমিতে ক্ষতিকর পোকা দমনের পাচিং ব্যবহারে সুফল পাচ্ছে ঝিনাইদহে কৃষকরা
1 min readএদেশের মানুষ কৃষির উপর নির্ভর করে চলতে হয়।বাংলাদেশের প্রধান ফসল ধান। এলাকার কৃষকরা বছরে ৩ বার ধান রোপন করে থাকে তার জমিতে।ধান উৎপাদনের প্রধান অন্তরায় ক্ষতি কারক পোকার আক্রমন।ধান ক্ষতের পোকা দমনের জন্য কৃষক ব্যাপক হারে কিটনাশক ব্যবহার করেছে এক সময় এতে করে পোকা সহ পানি মাটি বাতাস দুষিত হয়ে পড়ছে। কৃষকের স্বাস্থ্য ঝুকিতে থাকতো। কিন্তু কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার এখন কমতে শুরু করেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি,মধুহাটী ,সাগান্না হলিধানী,কুমড়োবাড়ী ইউনিয়নে প্রায় জমিতে আধুনিক জাতের ধান লাইন, লোগে সহ পাচিং করা হয়েছে। বর্তমান মাঠে ধানের অবস্থা অত্যন্ত ভাল। এসব প্রযুক্তি প্রয়োগে ধান ক্ষেতে কৃষকদের পোকা ও রোগবালাই নাশক দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছেনা। ফলে পরিবেশে স্বাস্থ্য ভাল সহ উৎপাদন খরচ কম হচ্ছে ও কৃষক নিরাপদ স্বাস্থ্য সম্মত ফসল উৎপাদন করছে।
ঝিনাইদহ সাধুহাটি এলাকার উপসহকারী কৃষি অফিসার ও মধুহাটী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মেসবাহ আহামেদ জানান লাইন লোগে পদ্ধতিতে ধান রোপন করা শতভাগ জমিতে পাচিং করা হয়েছে। ধান ক্ষেতে ধৈঞ্চা ও ডাল পুতো পোঁকা খেকো পাখি বসার ফলে ধানের জমিতে কীটনাশক খরচ কম হচ্ছে ও পরিবেশের ভারসম্য রক্ষা হচ্ছে। ফলে কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। বড়বাড়ী গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম, বলেন, ধানের অবস্থা খুব ভাল। শিমুল বলেন, এ বার আমরা লাইনে আমন ধান রোপন করেছি এবং জমিতে পাচিং করেছি ফলে ঁেপাকার আক্রমন নেই আমরা কৃষি অফিসার মেসবাহ আহামেদের পরামর্শ অনুযায়ী চাষাবাদ করার ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হব এমনটি আসা তাদের । সাধুহাটির কৃষক ইদ্রিস আলী জানান এভাবে কৃষি বিভাগের নতুন নতুন প্রযুক্তি কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের অভিনন্দন জানাই।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. খান মোঃ মনিরুজ্জমান বলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গড়ে ৮০% জমিতে লাইন, ৫০% জমিতে লোগো ও প্রায় ১০০% পাচিং করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তি পোঁকা ও রোগ ব্যবস্থাপনা খুবই ফলপ্রসু। তাই কৃষক খুবই স্বাচ্ছান্দ পূর্ন ভাবে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসাররা সার্বক্ষনিক ভাবে এসব প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ফসলের নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগে নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আাশা করছি এবার আমন ধানের ফলন অত্যন্ত ভাল হবে এবং কৃষক খুবই লাভবান হবেন। তিনি আরো জানান ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ২২,৫৬০ হেক্টর এবং অর্জিত হয়েছে ২৩,৮০০ হেক্টর। সব মিলে কৃষক তাদের পরামর্শের কারনে অনেক ভাল ফলন আসা করছে।