নির্দেশনার পরও কলড্রপে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না অপারেটরগুলো
1 min readজুলাই থেকে কলড্রপে বিটিআরসির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও মোবাইল অপারেটরগুলো তা মানছে না। দুর্বল নেটওয়ার্ক, টাওয়ার তদারকির অভাব, কারিগরি দুর্বলতার ফলেই নেটওয়ার্ক সার্ভিস খারাপ থেকে অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ফোনে কথা বলার সময় কথা ভেঙে ভেঙে আসে। ফলে গ্রাহকরা বারবার কল কেটে নতুন করে কল দিতে বাধ্য হন। এতে করেও গ্রাহকদের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ হিসাবের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল টিআইএম নুরুল কবির।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কলড্রপ আইটিইউয়ের মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে। তারপরও মোবাইল অপারেটরগুলো বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধু অপারেটরদের কারণে কলড্রপ হয় না। আবহাওয়া, ফাইবার অপটিক, এনটিটিএন, আইসিএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণেও কলড্রপ হতে পারে। মন্ত্রণালয় বিটিআরসি ও অপারেটররা এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন ৯০ কোটি মিনিটের মধ্যে যদি এক কোটি ৬০ লাখ মিনিট কলড্রপ হয় তাহলে সেটা কত পার্সেন্ট হয়? নিশ্চয় অনেক কম। তারপরও কলড্রপের কারণে যেন গ্রাহকদের কোনো ধরনের ক্ষতির শিকার হতে না হয় সেদিকটি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ৫টি মোবাইল অপারেটর রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক। অন্যগুলো হচ্ছে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল ।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় গ্রাহক কলড্রপের শিকার হলে তার জন্য ক্ষতিপূরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয় বিটিআরসিকে। সে অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারি কলড্রপের ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক মিনিট কল ফেরত দেয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা জারি করা হয়।
বিটিআরসির নির্ধারিত মান অনুযায়ী, মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর কলড্রপের হার তিন শতাংশের কম হলে তা হবে মানসম্পন্ন সেবা। আর আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কলড্রপ দুই শতাংশের মধ্যে থাকলে তা গ্রহণযোগ্য। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ হার দুই শতাংশ।
উল্লেখ্য, বিটিআরসির চাপের মুখে মোবাইল অপারেটরগুলো ২০১৪ সালে গ্রাহকদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কলড্রপ সুবিধা চালু করে। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম কলড্রপ সুবিধা দেয় বাংলালিংক। আর গ্রামীণফোন একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের এ সুবিধা দেয়া শুরু করে।
তবে গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় সব অপারেটর। ২০১৪ সালের পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো এক দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিট ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল।