প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের শরীর কাটলো এক নারী
1 min read
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ব্লেড দিয়ে নিজের শরীর কাটলো আমেনা বেগম (৪৫) নামের এক নারী। বর্তমানে তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।সোমবার রাতে হরিণাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, বেশ কয়েকবছর ধরে পার্বতীপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মিন্টুর সাথে বিরোধ চলে আসছিল প্রতিবেশী নজরুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা বেগমের। মিন্টুকে পারিবারিক ভাবে হেনস্থা করার জন্য পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ দেয় আমেনা বেগম। কয়েকবছর যাবত ঢাকা, যশোরসহ বিভিন্ন স্থানে বসবাস করে আসছে আমেনা বেগম। সর্বশেষ সোমবার দুপুরে যশোর থেকে এসে পার্বতীপুর গ্রামের মিন্টুর বাড়ীর সামনে এসে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। পরে নিজেই সোমবার সন্ধ্যায় হরিণাকুন্ডু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
রাত ২ টার দিকে ঘর থেকে উঠে বাড়ীর আঙ্গিনায় গিয়ে ব্লেড দিয়ে নিজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে চিৎকার শুরু করে। পরে সেখান থেকে তাকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সেখানে রক্তাক্ত ব্লেড পড়ে রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আমেনা বেগম বলেন, তাকে হত্যার জন্য মিন্টুসহ আরও ৫ জন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। সেখানে তার চাচী উপস্থিত ছিলেন।এদিকে তার চাচী মৃত মনির উদ্দিনের স্ত্রী টিয়ে খাতুন বলেন, আমি তো কিছুই দেখিনি। আমেনা চিৎকার করছিল তাই আমি সেখানে গিয়ে তাকে ঘরে নিয়ে আসি। আমেনা সেই সময় বলেছিল ৫ জন তাকে কুপিয়েছে। কিন্তু টিয়ে খাতুন বলেন রাতে তার কাছে ৩ জনের কথা বলেছেন।
প্রতিবেশী সবুরা খাতুন বলেন, রাতে আমেনা চিৎকার করছিল। তার আশপাশে কোন লোকজন দেখিনি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আমেনা বেগম নিজেই এই কাজ করেছে। এ ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠিয়েছিলাম। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ঘটনাটি সাজানো। তবুও ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো যাবে।