বিএলবি রোগের আক্রমনে ধানের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
1 min readঝিনাইদহে আউশ ধান চাষিরা ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে। জমির ধান গুলোতে দানা আসার আগেই ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট (বিএলবি) রোগের কারনে এই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কৃষকরা জানান, ধানের জমি গুলোতে প্রথমে খয়েরি রং ধারন করে এবং আস্তে আস্তে জমির ধানের সকল স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। এক পর্যায়ে ধানের পাতা গুলো শুকিয়ে যায়। ধানের গাছ গুলো খড়ের (বিচুলি) মত দেখা যাচ্ছে। ফলে রোগের কারনে ধানের ফলনে বিপর্যের আশঙ্কা করছে ধান চাষিরা।
তবে কৃষি বিভাগ জানায়, এ রোগের আক্রমন দেখা দেয়া মাত্রই মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। যে সকল কৃষক রোগের জন্য কোন ব্যবস্থাগ্রহণ করেনি তাদের জমিতে ফলন কমে যেতে পারে।
ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ আরও জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৬টি উপজেলায় ৮৬ হাজার ২’শ ৪২ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করেছে ধান চাষিরা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং প্রতিকুল আবহাওয়া জনিত কারনে জেলার কোন কোন মাঠে এই ধরনের রোগের আক্রমন দেখা গেছে।
ভুক্তভোগি কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মিদের কৃষকরা পরামর্শ না পেলেও সার কীটনাশক ব্যবসায়িদের পরামর্শে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির ছত্রাক নাশক ব্যবহার করছেন।
ধান চাষি সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর গ্রামের মজনুর রহমান জানান, এক বিঘা জমিতে রত্না ধানের আবাদ করেছি। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই জমির ধানের পাতা গুলো শুকিয়ে গেছে। এই ধানে নিশ্চিত ফলন বিপর্যয় ঘটবে বলে তিনি দাবি করেন। একই ধরনের কথা জানালেন, গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান, মিন্টু মিয়া।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড.খান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এই রোগে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট বা সংক্ষেপে বিএলবি বলা হয়। এই রোগের আক্রমন দেখা দেয়া মাত্রই ক্রোসিন প্রতি লিটার পানিতে ১০ গ্রাম ওষুধ মিশিয়ে ১০ শতক জমিতে স্প্রে করলে দ্রুত ফল পাওয়া যাবে। এছাড়াও রোগের ধরন বুঝে বাজারের অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করলেও ভাল ফর পাওয়া যাবে।
আহমেদ নাসিম আনসারী