বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোর ইয়াছিন বাচঁতে চায়
1 min readএতিম শিশু ইয়াছিন বাঁচতে চায়। উঠে দাঁড়াতে চায়, যেতে চায় আগের মতোই স্কুলে, খেলতে চায় বন্ধুদের সাথে। কিন্তু গত ১৭ মাস এক অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিছানায়। জীর্ণকায় শরীরটা দিনে দিনে মরনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তাকে। প্রতিবেশী মতিউর রহমান, লিংকন ও মামুন জানান, তার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা পরের জায়গায় বসবাসরত ভ্যান চালক দাদা’র পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব না।
তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছে তারা। গান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন মালিথা জানান, ঝিনাইদহ সদরের কুঠিদূর্গাপুর গ্রামের মৃত বাদশা মল্লিকের ছেলে ইয়াছিন মল্লিক (১৩)। সে স্থানীয় মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। ছোট বেলায় সে বাবা-মাকে হারায়। ভুমিহীন ভ্যান চালক দাদার সংসারে সে বড় হচ্ছিল। গত ১৭ মাস আগে হঠাৎ করে তার শরীর অবস হয়ে যায়। সে হাটা চলা করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এখন সে হাড্ডিসার শরীর নিয়ে বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। দাদা সলিম মল্লিক জানান, স্থানীয় ডাক্তারদের দেখালে তারা তাকে ফরিদপুর অথবা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমার পক্ষে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
দাদী জহুরা বেগম জানান, বিনা চিকিৎসায় ইয়াছিন বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা সহযোগীতার হাত বাড়ালেই কেবল শিশু ইয়াছিন সুস্থ হয়ে আবার স্বভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে। তিনি আরও জানান, সাহায্যের জন্যে বিকাশ নম্বর হচ্ছে ০১৭৬২১৯২৮৩১, আর যোগাযোগের জন্যে ০১৯১৩৯৩২১৯১। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও প্রাক্তন আরএমও ডা: রাশেদ আল-মামুনের সাথে কাথা বললে তিনি জানান, এ রোগটা গুইলিয়াম বেরি সিনন্ড্রোম হতে পারে। এ রোগটা শুরু হয় শরীরের নিচের অংশ থেকে। শরীরের সকল মাসল দুর্বল হয়ে যায়।
আস্তে-আস্তে সারা শরীরটাই প্যারালাইজড হয়ে যায়। এ রোগ যদি হয় আমাদের ঝিনাইদহসহ পুরো খুলনা বিভাগে সম্ভব না। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব একে উন্নত চিকিৎসার করণে ঢাকাতে নিয়ে যাওয়া দরকার। আর সমাজের বিত্তবানদের এমন কোমল শিশুকে বাঁচানোর জন্যে অনতিবিলম্বে হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচৎ।