মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক শূন্যতায় রোগীদের ভোগান্তী চরমে
1 min read
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল ও চিকিৎসক সল্পতার কারনে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা । এত করে সারে ৪ লাখ মানুষের এই উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা অবস্থা লাজুক হয়ে পড়েছে।
সেই সঙ্গে প্রতিদিন রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের কারনে নানা রোগে আক্রান্ত চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেন ভোগান্তীর অন্তনেই। উন্নত মানের চিকিৎসা না পেয়ে অবশেষে তাদেরকে ছুটতে হচ্ছে অন্যে কোথাও ।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে গিয়ে উপজেলার দূর্গম জনপদ থেকে অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা
পয়সা খরচ করে আসা রোগীদের ভীর দেখা যায়। হাসপাতালে সহকারী মেডিকেল অফিসার মনির হোসেন রোগী সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে।
কেউ কেউ চিকিৎসা নিতে দাড়িয়ে আছে, আবার কেউ কেউ বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।কার্যত সুরম্য অবকাঠামো আর সাইনবোর্ড ঝুলে থাকলেও চিকিৎসকের শূন্য পদে পদায়ন না হওয়ায় দেখা মিলছে না চিকিৎসক।
রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারনে শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে নিয়োমনিয়া ও ডায়রিয়া সহ জটিল রোগ ।কিন্তু মহেশপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভালো কোন ডাক্তার না থাকায় আমাদের বিপদে পরতে হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসা না পেয়ে অন্য কোথাও রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে। এমন কি দালালদের খপ্পরেও পরতে হচ্ছ্।ে
জানা যায়, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের জুনিয়র কনসালটেন্ট ৯ জন ও মেডিকেল অফিসার ২১ জন থাকার কথা রয়েছে। অথচ হাসপাতালে আছে নামে মাত্র ৩ জন ডাক্তার। তবে একজন ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। পর্যাপ্ত লোকবল ও চিকিৎসক না থাকার কারণে রোগীদের ভোগান্তী এখন চরমে। গত কয়েক মাস ধরে এই অবস্থা চললেও এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধ্বতন কর্তীপক্ষ।
এমনি অবস্থা প্যাথোলজি বিভাগেও সেখানে ৪টি পদ থাকলেও নেই কেউ।পার্শবর্তী উপজেলা কোটচাদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে আব্দুল্লা আল মামুন (মেডিকেল টেক্যলোজিষ্ট ল্যাব ) এসে সাপ্তাহে দুই দিন রোগীদের সেবা দিচ্ছেন।
ডাক্তার নাসির উদ্দিন জানান, গত কয়েক মাস ধরইে হাসপাতালে এই লাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। ডাক্তাররা উচ্চতর ডিগ্রি ও প্রশিক্ষনের জন্য বাইরে চলে গেছে । হাসপাতালের এই অবস্থার বিবরণ দিয়ে উপর মহলে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত ব্যবস্থা হয়নি।
তিনি আরো জানান, হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে হলে জরুরি ভিক্তিতে পর্যাপ্ত লোকবল ও চিকিৎসক প্রয়োজন।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, প্রফুল্ল কুমার জানান,চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে হাসপাতালে রোগীদের মান সম্মত চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। ইউএইচএফপিও বাদে একজন ডাক্তার জরুরি বিভাগ ও বহিঃবিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছেন। বর্তমানে হাসপাতাল চালানোর স্বাথে কোন কোন সময় ইউনিয়ন সাব সেন্টার থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।