মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার মৃধার মারধরের ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই-সংবাদ সম্মেলনে এমপি আব্দুল হাই
1 min read
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা মোক্তার আহম্মেদ মৃধার মারধরের ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই, একটি মহল আমাকে ভিক্টিমাইজ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবী করেছেন, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই।
বুধবার বিকেলে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, যারা মেরেছে এবং যারা মার খেয়েছেন তারা সবাই আমার লোক। যারা মোক্তার আহম্মেদ মৃধাকে মারধর করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ইতি মধ্যে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হামলার ভিডিও ফুটেজ আছে। হামলায় যারা জড়িত তাদের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু একটি মহল ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, তার সাবেক এপিএস জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আসামী করা হয়েছে শুধুমাত্র আমার উপর দোষ চাপানোর জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সহ-সভাপতি এ্যাড. অজিজুর রহমান, আব্দুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দারসহ আওয়ামী লীগের জেলানেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্যঃ ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি ওষুধের দোকানে বসা ছিলেন মোক্তার আহমেদ মৃধা। এসময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী রড ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয় ও জখম করে। তার ছেলে গোলাম মুরশিদ মৃধা হামলা কারিদের হাত থেকে বাবাকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। হামলা কারিরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়।
পিতা পুত্র ঢাকার মহম্মদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এব্যাপারে মোক্তার মৃধার ছেলে মাহমুদুল হাসান সুমন বাদি হয়ে পরের দিন ১৯ অক্টোবর শৈলকুপা থানাতে মামলা করেন। ১০ জনকে আসামী করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম আহম্মেদ, শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শামিম জোয়ার্দ্দার আসামীদের মধ্যে রয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আসামীরা বর্তমানে জামিনে আছে। মামলা বর্তমানে তদন্তাধিন আছে।