শৈলকুপায় এক গৃহবধুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা, ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা প্রভাবশালী মহলের
1 min read
ঝিনাইদহের শৈলকুপার রোজিনা নামের এক গৃহবধুকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনার ধামা চাপা দিতে লাশ রাস্তার উপর ফেলে তাকে পাগল ও সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তাদের অভিযোগ। বুধবার রাত ১০ টার দিকে বড়দাহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ রাস্তার পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার বড়দাহ গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী রোজিনা খাতুন ২ সন্তানের জননী। তার ছেলে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণিতে উঠেছে আর মেয়ের বয়স ৪ বছর। রোজিনার স্বামী মাসুদ রানা ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকরি করেন। বুধবার রাতে তারাবির নামাজের সময় রোজিনাকে বাড়ীতে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ীর আশে পাশের মাঠ পানবরজ সহ কয়েকটি জায়গায় খোজাখুজির পর রাত ১০টার দিকে মহাসড়কে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। তবে লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহ হয় রোজিনাকে নির্জন স্থানে বা পান বরজে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে মহাসড়কে।
রোজিনার পিতা আব্দুল আজিজ জানান, তার মেয়ের লাশ রাস্তায় ছিল, তবে সেখানে কোন রক্ত না থাকায় তার সন্দেহ বাইরে থেকে তার উপর শারিরীক নির্যাতন, ধর্ষন ও হত্যা করে মহাসড়কে ফেলে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা চলছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন।
স্বজন ও এলাকাবাসীরও অভিযোগ তাকে ধর্ষন করেছে একটি দূর্বৃত্ত চক্র ও প্রভাবশালী মহল। এরপর ঘটনার ধামাচাপা দিতে রাস্তায় লাশ ফেলে সড়ক দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাস্তার পাশ থেকে গৃহবধু রোজিনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধু রোজিনা কে ধর্ষন ও হত্যা করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করার পর জানা যাবে।