সবিতা রাণী ও রাধা পদ’র ছাগল সংসার
1 min readছাগলকে বলা হয় গরীবের গাভী। ঝিনাইদহ জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চলছে ছাগল পালন। উন্নত জাতের ছাগল ব্লাক বেঙ্গল লালন-পালন করে সবিতা রাণী অধিকারী ও রাধা পদ অধিকারী ঝিনাইদহে এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ স্থাপন করেছেন। কোরবাণী ঈদকে সামনে রেখে প্রচণ্ড ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এই দম্পতি। তাদের দেখা-দেখি ও উৎসাহে ঔ গ্রামের অন্যান্য পরিবারগুলোও আস্তে-আস্তে ঝুঁকে পড়ছে এ লাভজনক ছাগল খামার করতে।
ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার শৈলমারী গ্রামের রাধাপদ অধিকারী ও ছবিতা রানী অধিকারী। প্রায় ২৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। দরিদ্র পরিবার হওয়ায় অত্যন্ত কষ্টের সাথে চলছিল সংসার। তাই তখন থেকেই দু-জনে শুরু করেন ছাগল পালন। প্রথমে একটি দেশীয় প্রজাতির ব্লাক বেঙ্গল জাতের কালো ছাগল দিয়ে শুরু তাদের ছাগল পালন। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি তাদের।
এখন তাদের ছাগলের সংখ্যা ৭৫ টি। প্রতি বছর ২০ থেকে ৩০ টি ছাগল বিক্রি করছেন তারা। বছরে সংসারে আয় দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকা। লাভের টাকা দিয়ে বিয়ে হয়েছে বড় মেয়ের, লেখা পড়া শিখছে ছোট মেয়ে, বানিয়েছেন থাকার পাকা ঘর, বাথরুম, ছগলের শেড। সকাল ৯ টা বাজলেই বাড়ির কর্তা ছাগল গুলো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন মাঠে খাওয়াতে ( স্থানীয় ভাষায় চরাতে)। ফেরেন সন্ধ্যার আগ দিয়ে।
তাদের এক প্রতিবেশির সাথে কথা বলে জানাযায়, একমাত্র তাদের উৎসাহেই শুরু করেছিলাম ছগল পালন। এখন আমরাও সংসারে বাড়তি আয় করছি। বাড়ি-ঘর তৈরীসহ করছি সংসারের নানান বড়-বড় কাজ।
অপর আরেক প্রতিবেশি বলেন, আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছেন সবিতা রাণী ও রাধা পদ। এ এলাকায় শতাধিক পরিবার তাদের উৎসাহে আহ ছাগল পালনে এগিয়ে এসেছে।
ছাগল খামার ও ছাগল পালনকারী পরিবার গুলোতে পুরুষদের পাশাপাশি বড় ভূমিকা রাখছে বাড়ির গৃহীনিরা। সংসার সামলানোর পাশাপাশি ছাগল পালনের সব ধরনের কাজ করছেন তারা। এতে সচ্ছলতা ফিরেছে এর সাথে জড়িত পরিবার গুলোতে।
তাদের মত শৈলমারী গ্রাম, বেতাই, চন্ডিপুর সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এখন জড়িত ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল পালনের সাথে। ছাগলের রোগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। খরচের তুলনায় লাভ দ্বিগুন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ৬ টি উপজেলাতে ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের খামার রয়েছে ২ শতাধীক। জেলায় প্রায় লক্ষাধীক পরিবার জড়িত ছাগল পালনের সাথে।