স্পর্শকাতর মুহুর্তে শৈলকুপায় জুয়া-যাত্রা, ঘটতে পারে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি
1 min read
মেলার নামে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় জুয়া-যাত্রা শুরু হচ্ছে । শেখপাড়ার পাশে রতিডাঙ্গাা গ্রামের মধ্যে নদীর ধারে চর এলাকা যেটি সন্ত্রাস কবলিত সেখানে কিভাবে প্রশাসন যাত্রার অনুমতি দেবে সেটা ভেবে অবাক হচ্ছেন এলাকার সচেতন মহল।
গত এক মাস আগেই নাটোর থেকে পদ্মা ওপেরা নামে সেখানে কমপক্ষে ১১টি মেয়ে আনা হয়েছে। তারা কিভাবে রয়েছে সে প্রশ্নটিও এখন মুখে মুখে । নিরাপত্তা নিয়ে যদি কোন অঘটন ঘটে, এসব মেয়ের দায়ভার কে নিবে ?
চাঁদামারি ট্রলার ঘাটে পশুহাটের মেলার নামে সুকৌশলে এটা আনা হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা জুড়ে যখন জামায়াত-মৌলবাদ, জঙ্গী, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোর অভিযান শুরু হয়েছে। দেশ কাপানো জঙ্গীরা যখন এ জেলায় থেকেছে বিভিন্ন সময়ে, একের পর এক খুন হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, নানা কারণে জেলাটি স্পর্শকাতর হিসাবে বিবেচিত। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে তৎপর প্রশাসন। এ অবস্থায় ইসলামী বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাশে, জামাত-শিবির অধ্যুষিত এলাকায় এই যাত্রা, মেলায় যদি নাশকতা ঘটে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে তার দায়ভার কে নিবে, এমনটিও বলছে অনেকে ? জুয়া-যাত্রা শুরু হলে এলাকায় চুরি-ছিনতায় বেড়ে যায়। বিঘœ ঘটে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আশপাশে বাড়ি-ঘরের পাশে বিরাট যাত্রা প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে। যাত্রা দলের মালিক আলমগীর হোসেন জানান, তাদের ৪২জন স্টাফের মধ্যে বেশীর ভাগ এসে গেছে। এদের মধ্যে ১৫ জন নারী শিল্পী, অভিনেত্রী রয়েছে। বসতি এলাকায় বেশ কয়েকদিন রিহার্সেলও হয়েছে।
যাত্রাপালার আয়োজকদের মধ্যে সাইদুর রহমান নামের একজন জানান, তারা জুয়া বা অশ্লীলতা হতে দিবে না।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলছেন, তারা আইনশৃঙ্খলা সহ সব বিষয়ে নজর রাখছেন। এখনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
শৈলকুপার ইউএনও মো: দিদারুল আলম জানান, যাত্রা ও মেলার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তবে যেখানে প্যান্ডেল করা হয়েছে, সেখানে অনুমতি দেয়া হচ্ছে না তার বিপরীতে মেলার অনুমতি পেতে পারে ।