হাসপাতালে জায়গা নেই, রাস্তায় চলছে চিকিৎসা
1 min readঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে জায়গা না থাকায় রাস্তায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল সড়কে গিয়ে দেখা যায় এই চিত্র। এ সময় অনেক রোগীকে হাসপাতালের সড়কে শুয়ে চিকিৎসা ও স্যালাইন নিতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও শতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানান ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডিপ্লোমা অ্যাসিস্ট্যান্ট নুরজাহান খাতুন।
তিনি বলেন, ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ অসংখ্য রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় জায়গার সংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় হাসপাতাল, মেঝে, বারান্দার বাইরে গিয়ে রাস্তায় রোগীদের রাখতে হচ্ছে। এভাবেই চলছে চিকিৎসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্থান সংকুলান না হওয়ায় হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা, এমনকি খোলা মাঠ, হাসপাতালের রাস্তায় ও প্যান্ডেলে রোগী রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব স্থানে চলছে রোগীদের চিকিৎসা।
রোজা শুরুর পর থেকে প্রতিদিন সব বয়সের রোগীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। শহরের কাঞ্চননগর ও কলাবাগান এলাকায় এই রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি।
কাঞ্চননগর এলাকার সেলিম হোসেন জানান, রাতে সেহরি খাওয়ার পর থেকে তার পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হয়। দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই এলাকার রাবেয়া খাতুন জানান, ডায়রিয়া আক্রান্ত হওয়ায় গত রোববার তার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন দুপুরে তিনি নিজেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোকাররম হোসেন বলেন, কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, পানিবাহিত জীবাণুর কারণে এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া রমজানে নিয়ম মেনে খাবার না খাওয়ায় এই রোগ হতে পারে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব আলী বলেন, গত তিনদিনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১৬০ জনকে। এছাড়া আউটডোরে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে প্রায় ২০০ জনকে। রোগের প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালে একটি অস্থায়ী ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইন ও অন্যান্য তরল খাবার যেমন ডাবের পানি, চিড়ার পানি ও ডালের পানি, ভাতের মাড় ও চালের গুঁড়ার জাউ খেতে হবে। এর পাশাপাশি সবাইকে ফুটানো পানি পান ও মলত্যাগ শেষে হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আহমেদ নাসিম আনসারী