মহিলা কলেজের শিক্ষক পলাশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের মামলা
1 min read
যশোরে জঙ্গি সন্দেহে আটক ঝিনাইদহ মহিলা কলেজের সেই শিক্ষক এসএম সাদিকুর রহমান পলাশের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটকের আট দিন পর শনিবার কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডি যশোর জোনের পরিদর্শক আজগর আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
আটক এসএম সাদিকুর রহমান পলাশ যশোর সদর উপজেলার আন্দোলপোতা গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি উপশহর সারথী মিল মোড়ের ১ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর বাসায় বসবাস করেন। তিনি ঝিনাইদহের সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের প্রভাষক। পুলিশের জানায়, আটক পলাশ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সক্রিয় সদস্য।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ আগস্ট রাতে তার উপশহরস্থ বাড়ি থেকে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তিনি একেক সময় একেক রকম কথা বলতে থাকেন। পরে তাকে আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পলাশ জানান, তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরিরের সক্রিয় সদস্য। ২০১২ সালে কাটাবোন এলাকায় হিজবুত তাহরির পোস্টার লাগানোর সময় ঢাকার শাহবাগ পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
১৯ আগস্ট পলাশকে আটকের পর তার ঘর তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে একটি পেন ড্রাইভ, একটি কম্পিউটার এবং বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার তথ্য তিনি গোপন করেন এবং ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ঝিনাইদহের সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। তিনি একটি মামলার আসামি এবং নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হলেও তথ্য গোপন করে অপরাধ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।